বিএডিসির সার কেলেঙ্কারি
সাবেক কৃষি কর্মকর্তা আহাদ আলীর জামিন হাইকোর্টে
ফাইল ছবি
২২ কোটি ২৩ লাখ টাকার সরকারি সার আত্মসাতের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সাবেক কৃষি কর্মকর্তা মো. আহাদ আলীর জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মনিক।
গত ২৪ জুলাই ভৈরবে বিএডিসির সার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে অর্থদণ্ডসহ সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন বিচারিক (নিম্ন) আদালত। ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কিশোরগঞ্জ বিএডিসির (সার) সাবেক যুগ্ম পরিচালক আহাদ আলী ও ভৈরবের বিএডিসির (সার) ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম।
সাত বছর করে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নরসিংদীর হাজিপুর নয়াপাড়া এলাকার মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে মো. হারিছুল হক, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়া এলাকার মৃত চুনীলাল রায়ের ছেলে লিটন রায় ও নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার মো. মজিবুর রহমান খানের ছেলে সারোয়ারুল আলম সবুজ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মজুত সার না থাকায় সারের ঘাটতি ধরা পড়ে। এ নিয়ে বিএডিসির (সার) যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শেখ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে।
২০১৫ সালের ১০ জুলাই দুদকের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হয়। মামলা চলা অবস্থায় দুই আসামি খোরশেদ আলম ও রতন মিয়া মারা যাওয়ায় আদালত তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী শফিকুল হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুল হক ও অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।
এফএইচ/বিএ/জেআইএম