ওয়াসার এমডির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান/ফাইল ছবি
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বিষয়টি জাগো নিউজকে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।
রিটে অভিযোগ করা হয়েছে, ওয়াসার এমডি তাকসিম জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন।
রিটকারী আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন বলেন, গত ১৩ বছর ধরে ওয়াসার এমডির পদে আছেন তাকসিম। অথচ একটি পদে স্বাভাবিকভাবে পাঁচ বছর, বা তার বেশি থাকার ইতিহাস আমাদের নাই। ২০০৯ সাল থেকে তিনি একই পদে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে রিটটি করা হয়েছে বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। তিনি বলেন, তাকসিম এ খানের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এর শুনানি হতে পারে।
সায়েদুল হক সুমন বলেন, তার সময়ে (তাকসিম এ খান) পানির দাম ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা ইউনিটপ্রতি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।
২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরে ঘষামাজা করে তাকসিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী সুমন।
তিনি বলেন, ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা তাকসিম এ খানের ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার, তা তার ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, তা পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে নাই।
‘তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে, ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বর হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছে। এ জন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।’
এর আগে ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার এমডি বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা হিসেবে কত টাকা নিয়েছেন, তার হিসাব চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা গত ২৯ নভেম্বর সেই হিসাব দাখিল করে। এতে দেখা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকসিম এ খান বেতন, উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়নসহ চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন।
এ থেকে ভ্যাট বাবদ কাটার পর বেতন-ভাতা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৫১৬ টাকা। প্রতিবেদনটি বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়।
এফএইচ/জেডএইচ/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড নিয়ে রুল
- ২ রিমান্ড শেষে কারাগারে সাংবাদিক শওকত মাহমুদ
- ৩ হাদির মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বর হারালো: প্রধান বিচারপতি
- ৪ নিউমুরিং টার্মিনাল নিয়ে রিট নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ
- ৫ নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার চাইলেন ৩ সেনা কর্মকর্তা