হবিগঞ্জ সদরের শতবর্ষী পুকুর ভরাটে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ফাইল ছবি
হবিগঞ্জ সদরের শতবর্ষী ‘চন্দ্রনাথ’ ও ‘টাউন মডেল স্কুল’ পুকুর ভরাট করে পৌরসভার মার্কেট নির্মাণকাজে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে এই আদেশ প্রতিপালন করে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের পরিচালক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস. হাসানুল বান্না। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী তৌহিদুল আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে রিট আবেদটি করা হয়। ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই আদেশ দেন।
রুলে ‘চন্দ্রনাথ’ ও ‘টাউন মডেল স্কুল’ পুকুরের অংশ ভরাট করে হবিগঞ্জ পৌরসভার অননুমোদিত মার্কেট নির্মাণ সংবিধান ও প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন বিধায়, তা কেন বেআইনি, আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভরাট থেকে পুকুর দুটি রক্ষা এবং ভরাট করা অংশ পুনরুদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পুকুর ভরাট করায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে হবিগঞ্জ পৌরসভার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসকসহ ১৩ বিবাদীকে (রেসপনডেন্ট) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম