সুস্থ থাকতে রপ্ত করুন এই ৯টি সহজ অভ্যাস

জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন করা অনেক সময় বেশ কঠিন ও ব্যয়বহুল হতে পারে। কিন্তু এমন কিছু ছোট ছোট অভ্যাস আছে যা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আপনি বড় কোনো ফলাফল পেতে পারেন, যা আপনার জীবনকে আগের চেয়ে আরো বেশি উপভোগ্য করে তুলবে। এই অভ্যাসগুলো চর্চা করলে আপনার এনার্জি বেড়ে যাবে কয়েক গুণ, কাজের মনোযোগ ও মেজাজ – সব কিছুতেই দেখতে পাবেন ইতিবাচক পরিবর্তন। তাহলে জেনে নিন জীবন বদলে দেওয়া ৯টি অভ্যাস -
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
১. নয় হাজার পদক্ষেপ হাঁটা
প্রতিদিন নয় হাজার কদম হাঁটা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য, বিপাক ও মানসিক সুস্থতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। এমন নয় যে টানা হাঁটতে হবে। সকালে হাঁটা, সিঁড়ি ব্যবহার বা কাজের ফাঁকে হাঁটাচলা করলেই চলবে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
২. আট ঘণ্টা ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম হরমোন নিয়ন্ত্রণ, মাংসপেশি পুনর্গঠন করে ও মস্তিষ্কের সতেজতা দেয়। ঘুমের অভাব হলে মানসিক চাপ, বিরক্তি ও রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ঘুমের সময় নিয়মিত করুন। ঘুমের আগে চা কফি না খাওয়া ও রাত করে মোবাইল ব্যবহার না করলে ঘুমও ভালো হবে।
বিজ্ঞাপন
৩. সাত গ্লাস পানি
হজম, পুষ্টি শোষণ, কিডনি ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় পানি অপরিহার্য। আসলে শরীরের সব কার্যক্রমেই পানি দরকার। তাই বয়স ও শরীরের গঠন অনুযায়ী যথেষ্ট পানি পান করা খুব জরুরি। তাই বাইরে গেলে সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। বাসায় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে অনেক সময় পানির পিপাসা বোঝা যায় না। তাই প্রয়োজনে গুণে গুণে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন।
৪. প্রতিদিন ছয় মিনিট ধ্যান
সারাদিনে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ৬ মিনিট সময় বের করুন। প্রতিদিন মাত্র ৬ মিনিট ধ্যান মানসিক চাপ কমায়, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে ও মনোযোগ বাড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে নজর দিলেই শুরু করা যায় মেডিটেশন বা ধ্যান। শুরু করার জন্য গাইডেড মেডিটেশন অ্যাপও ব্যবহার করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
৫. ফল বা সবজি খান
ফল ও সবজি আমদের শরীরের ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। এগুলো হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে সবুজ শাক, গাজর, কমলা জাতীয় রঙিন ফল ও সবজি পাতে রাখুন।
বিজ্ঞাপন
৬. দিনে চার বার স্ট্রেচিং
কাজের ফাঁকে দুই মিনিটের স্ট্রেচিং বা গভীর শ্বাস নিলে ক্লান্তি দূর হয়, রক্ত চলাচল বাড়ে। বসে থাকার কারণে পেশিতে হওয়া শক্তভাব কাটাতে এটি খুবই কার্যকর।
৭. ফোন ছাড়া দুই ঘণ্টা
ঘুমানোর আগে দুই ঘণ্টা স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। মোবাইলের নীল আলো ঘুমের হরমোন কমায়। বই পড়া, গান শোনা বা হালকা ব্যায়াম করলে ঘুম ভালো হবে।
৮. দিনে এক বার ব্যায়াম
হাঁটা, যোগ ব্যায়াম, ডান্স বা ওজন তোলা – যেকোনো ব্যায়াম হৃদযন্ত্র ও মেজাজ ভালো রাখে। দিনে ২০-৩০ মিনিটই যথেষ্ট।
বিজ্ঞাপন
৯. পুষ্টিকর খাবার তিন বেলা
প্রোটিন, জটিল শর্করা, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফাইবারযুক্ত খাবার শক্তি জোগায়। তাই প্রতিদিন তিন বেলা পুষ্টিকর খাবার খান। কম খাওয়া ও ওজন কমানোর চিন্তায় পুষ্টির সঙ্গে সমঝোতা করবেন না। বাদাম, দই বা ফল দিয়ে ক্ষুধা মেটালে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স এড়ানো যায়।
এই সহজ অভ্যাসগুলোই দিতে পারে উজ্জ্বল, সুস্থ জীবন। আজ থেকেই শুরু করুন।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: টাইমস্ অব ইন্ডিয়া
এএমপি/এমএস
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন