থার্টি ফার্স্ট নাইটে খাবার ও পানীয়তে সচেতন থাকুন
থার্টি ফার্স্ট নাইট মানেই পার্টি, আড্ডা আর নানা রকম মুখরোচক খাবারের আয়োজন। তবে আনন্দ করতে গিয়ে অতিরিক্ত খাওয়া অনেক সময় পরদিন অস্বস্তি, গ্যাস্ট্রিক বা ওজন বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটু সচেতন হলেই এই রাতে খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই আনন্দ উপভোগের পাশাপাশি খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকাও জরুরি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক থার্টি ফার্স্ট নাইটে খাবারে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-
১. খাবার শুরু করার আগে
পার্টিতে যাওয়ার আগে একদম খালি পেটে যাবেন না। হালকা কিছু খেয়ে নিলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফল, দই বা এক মুঠো বাদাম হতে পারে ভালো বিকল্প। পাশাপাশি সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
২. প্লেট ভরে নেওয়ার সময়
একবারে বেশি খাবার প্লেটে না নিয়ে অল্প অল্প করে নিন। এতে কোনটা কতটা খাচ্ছেন, সে বিষয়ে সচেতন থাকা যায়। ভাজা ও অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবারের বদলে গ্রিলড, সেদ্ধ বা সালাদ জাতীয় খাবারে বেশি জোর দিন।

৩. খাওয়ার গতি নিয়ন্ত্রণ করুন
ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খান। দ্রুত খেলে মস্তিষ্ক বুঝে ওঠার আগেই অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। ধীরে খেলে অল্প খাবারেই তৃপ্তি আসে।
৪. পানীয়ের দিকে নজর রাখুন
উৎসবের সময় শুধু খাবার নয়, পানীয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়াও জরুরি। সফট ড্রিংক, মিষ্টি শরবত বা অতিরিক্ত চিনি মিশ্রিত পানীয় আকর্ষণীয় মনে হলেও এগুলো শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি যোগ করে এবং তৃষ্ণা মেটানোর পরিবর্তে খাবারের ইচ্ছা বাড়িয়ে দেয়। তাই চিনিযুক্ত পানীয়ের বদলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এটি পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং পেট ভরা অনুভূতি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতা কমে।

৫. হালকা খাবার রাখুন
উৎসবের খাবারের তালিকায় শাকসবজি ও হালকা খাবার রাখলে মাংস বা ভারী খাবারের কারণে শরীরে পড়া চাপ অনেকটা কমানো যায়। শাকসবজিতে থাকা আঁশ হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়। বারবিকিউ বা ভোজের সময় সালাদ, সেদ্ধ বা গ্রিল করা সবজি রাখলে ভারী খাবারের প্রতি আকর্ষণও কমে আসবে।
৬. মানসিক আবেগ নিয়ন্ত্রণ রাখুন
উৎসবের সময় বেশি খাওয়ার একটি বড় কারণ হলো মানসিক আবেগ। আনন্দ, উত্তেজনা, পারিবারিক মিলনমেলা বা দীর্ঘদিনের চাপ থেকে মুক্তির অনুভূতিতে অনেকে অজান্তেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। তাই খেয়াল রাখা জরুরি-উৎসব শুধু খাওয়ার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে না পারে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, গল্প করা এবং মুহূর্তগুলো উপভোগ করাই হওয়া উচিত আসল আনন্দের উৎস।
৭. আড্ডায় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
শুধু খাবারের টেবিলের আশপাশে না থেকে গান, গল্প বা খেলায় নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এতে অজান্তেই বারবার খাবার নেওয়ার অভ্যাস কমে যাবে। বাসায় ফিরে ভারী কিছু না খেয়ে হালকা গরম পানি বা হারবাল চা পান করুন। এতে হজমে সাহায্য হবে এবং শরীরও আরাম পাবে।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য
আরও পড়ুন:
শীতে শরীর গরম রাখে যেসব খাবার
শীতে যাদের ফুলকপি-বাঁধাকপি না খাওয়াই ভালো
এসএকেওয়াই/