কেন নিয়মিত কাজু বাদাম খাবেন?

বাদাম শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা নতুন করে বলার কিছু নেই। শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই কাজুবাদাম খেতে খুব পছন্দ করেন। কাজুবাদাম খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান।
কাজুবাদামে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফসফরাস, জিংক, কপারের মতো উপকারী উপাদান। যা শরীরের অনেক সমস্যাসহ ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খাবারে কাজুবাদাম থাকাটা জরুরি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
নিয়মিত পরিমিত মাত্রায় কাজু বাদাম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার পাওয়া যায়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ৫-৮টি কাজু বাদাম যথেষ্ট। কাজু বাদাম খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো খাবারের আগে বা পরে। খাবারের সঙ্গে খেলে পেট ভর্তি থাকে এবং হজমে সহায়তা করে। বিশেষ করে রাতের খাবারের পর খাওয়া গেলে হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া সালাদ, মিষ্টি, দই বা দুধের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
কাজু বাদামের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা পেতে প্রাকৃতিক বা ভাজা কাজু বাদাম খেতে পারেন। কারণ সিজনড বা স্যল্টেড কাজু বাদামে অতিরিক্ত লবণ বা চিনি থাকতে পারে যা শরীরের জন্য ভালো নয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আসুন জেনে নেওয়া যাক কাজু বাদাম আমাদের কী কী উপকার করে-
ওজন কমাতে
যারা ওজন কমাতে চান, তারা চর্বি ও প্রোটিন জাতীয় অন্যান্য খাবার বাদ দিয়ে কাজু বাদাম খেতে পারেন। কাজু বাদামে যে প্রোটিন আছে, তা চর্বির পরিমাণ কমিয়ে ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কাজু বাদামে উপস্থিত ফাইবার ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়। তবে ওজন কমানোর জন্য কাজু বাদাম খেতে হবে কাঁচা ও লবণবিহীন ভাবে।
বিজ্ঞাপন
সুন্দর ত্বক ও মজবুত চুলের জন্য
উজ্জ্বল ত্বক এবং সুন্দর চুল পেতে চান? নিয়মিত কাজু বাদাম খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার। এটি কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খনিজ, যা ত্বককে টানটান এবং তরুণ রাখে। এছাড়া কপার অকালে চুল পাকা রোধ করে।
স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে
কাজু বাদামে থাকা জিংক, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। যার ফলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। কাজুতে থাকা ট্রিপটোফেন যা সেরোটোনিন তৈরিতে উৎসাহিত করে। এটি এক ধরনের হরমোন যা আমাদের স্ট্রেস কমায়। তাই স্মরণশক্তি বাড়াতে ও মস্তিষ্ককে শাণিত রাখতে প্রতিদিন কাজুবাদাম খেতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
কাজু বাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
বিজ্ঞাপন
রক্তের সমস্যা দূর করতে
কাজুতে থাকা কপার রক্তরোগ দূর করতে কার্যকরী। রক্তে কপারের অভাব হলে লৌহ স্বল্পতাও শরীরে দেখা দেয়, যা রক্তশূন্যতা তৈরি করে। দুধে ভেজানো কাজুবাদাম এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধানে
যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য দুধে ভেজানো কাজু হতে পারে এক মহৌষধ। কাজুতে রয়েছে ফাইবারের মতো উপাদান, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেটের সমস্যার সমাধানও করে থাকে।
বিজ্ঞাপন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
বর্তমানে ফাস্টফুডজাতীয় খাবার, বিরূপ আবহাওয়াসহ নানা কারণে মানষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ কারণে রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য ভরসা রাখতে পারেন কাজুবাদামের ওপর।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএকেওয়াই/কেএসকে/জিকেএস
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন