আমি হবো মেনেলাউস

আমার হৃদয়ে কার ছায়া পড়ে?
কে হেঁটে যায় কল্পনার পাতায়
হলুদ শাড়িতে জড়ানো কোনো মুখরতা,
ঘাড় হেলিয়ে একটুখানি হাসি?
না-বলা কথার মতো,
মুক্তোর মালা জলে ডোবে,
আমি দেখেও বুঝে উঠি না কিছু।
কে সে?
সময়ের ছেঁড়া পৃষ্ঠায় বহু বছর পরে
হঠাৎ এসে দাঁড়ায়—
ভালো লাগা? প্রেম?
নাকি এক অতীতের খণ্ডচিত্র?
উত্তর খুঁজি আমি—
ঠিক উত্তর, স্পষ্ট, নিরাবরণ।
প্রেমের মতো,
আবার কবিতার মতোই—
ভুল কি দেখছি? মায়া?
সে কি সত্যিই কেউ?
মানুষ? পরি? স্মৃতির ধোঁয়া?
নাকি সরিষার হলুদে ভেজা
এক শীতসকাল?
উত্তর আসে না,
বার্তা আসে না,
সে কেবল দূরে সরে যায়—
দূরে, আরও দূরে—
দৃষ্টিসীমার বহু বাইরে।
তবু মনে হয়—
তাকে না পেলে,
আমি যুদ্ধ বাঁধাবো
আগুনে পোড়াবো নগর—
ছারখার করবো নব্য সভ্যতা,
নিজেই নিজেকে করবো ভস্ম।
হঠাৎ সাহস করে এগিয়ে যাই,
একবার থামাই তাকে—
সে চমকে তাকায়
আর আমি কাঁপা গলায় বলি,
‘তুমি কেন এসেছো?’
সে মুচকি হাসে—কিছু বলে না।
জিজ্ঞেস করে, কী চান? বলেন...
আমি চোখ মুছে বলি,
একটাই কথা, বারবার—
‘আমি হবো মেনেলাউস,
তুমি যদি হও হেলেন।’
এসইউ/জেআইএম