চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার কারখানা থেকে কেএনএফের পোশাক জব্দ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মালিকানাধীন ওয়েল গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েল ফেব্রিক্স’ কারখানা থেকে বান্দরবানের পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম তৈরির রোল কাপড় জব্দ করেছে পুলিশ।
সোমবার (২ জুন) দিবাগত রাত ৯টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল এলাকার ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এসময় কাপড় পরিবহনে ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। এরমধ্যে আবদুচ ছালামের ছোটভাইও রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
চান্দগাঁও থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘কুকি-চিনের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে সন্দেহে ওয়েল ফেব্রিক্স ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে গাড়িতে রোল করা কাপড়সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
এর আগে গত ২৭ মে রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস নামের কারখানা থেকে কেএনএফের ১৫ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার এক পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন:
- কেএনএফের আরও ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ, কারখানা মালিক গ্রেফতার
- কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দ: চট্টগ্রামে পোশাক কারখানা মালিক রিমান্ডে
- কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দ: চট্টগ্রামে পোশাক কারখানা মালিক রিমান্ডে
তার আগে ২৬ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় রিংভো অ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানার গুদাম থেকে ১১ হাজার ৭৮৫টি এবং ১৭ মে নয়ারহাটের কারখানা এবং পাশের মুজাফফরনগর আবাসিক এলাকার ওই কারখানা থেকে কেএনএফের ২০ হাজার ৩০০ সেট ইউনিফর্ম জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই কারখানা মালিক সাহেদুল ইসলাম, ইউনিফর্ম তৈরির দুই ফরমাশদাতা গোলাম আজম এবং নিয়াজ হায়দারকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
২৭ মে রাতে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার একটি কারখানা থেকে কেএনএফের পোশাক জব্দ করে বায়েজিদ থানা পুলিশ, সাম্প্রতিক ছবি
ওই ঘটনায় বায়েজিদ থানায় একই আইনে আরেক মামলা হয়। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন কেএনএফের সদস্যরা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, হত্যা, অপহরণ, গুমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে। গ্রেফতার ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিরা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে অবৈধভাবে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
গত বছরের ২-৩ এপ্রিল বান্দরবানের থানচি ও রুমার দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতি করে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
এমডিআইএইচ/এসএনআর/জেআইএম
বিজ্ঞাপন