‘অরক্ষিত’ হাতিরঝিল, সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্ক
হাতিরঝিলে ছিনতাইকারীর উৎপাত বেড়েছে/ছবি: জাগো নিউজ
সকাল-সন্ধ্যা বেড়ানো, আড্ডা দেওয়া কিংবা বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিল। কিন্তু পর্যাপ্ত সড়কবাতি, সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তাকর্মীর অভাবে সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে রাজধানী ঢাকার অন্যতম সুন্দর এলাকাটিতে। ছিনতাই, লেক থেকে মরদেহ উদ্ধারও নৈমিত্তিক ঘটনা।
সম্প্রতি হাতিরঝিল এলাকার প্রধান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে ছিনতাই। মাদক কেনাবেচা ও মাদকসেবীদের আড্ডাও বেড়েছে বলে মনে করছেন আশপাশের বাসিন্দারা। সঙ্গে যোগ হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ হওয়া সড়ক। সব মিলিয়ে হাতিরঝিলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা হুমকিতে বলেই মনে করছেন নিয়মিত বিচরণকারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকে হাতিরঝিলে ছিনতাই আতঙ্ক শুরু হয়। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে দুর্বৃত্তদের উপদ্রবও বাড়তে থাকে। ভোর বা সকালে যারা হাঁটতে যান, তাদের অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ-আনসার সদস্যদের নজরদারির অভাবেই মূলত দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে হাতিরঝিল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থা আনসার বলছে, হাতিরঝিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। তাদের তৎপরতায় এখন হাতিরঝিলে ছিনতাই নেই বললেই চলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পর থেকে হাতিরঝিলে মূলত ছিনতাই আতঙ্ক শুরু হয়। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে দুর্বৃত্তদের উপদ্রবও বাড়তে থাকে। ভোর বা সকালে যারা হাঁটতে যান, তাদের অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। ছিনতাইকারীরা ছুরি বা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিচ্ছেন। কিন্তু হাতিরঝিলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।
- আরও পড়ুন
- অপরাধী দ্রুত শনাক্তে নিয়ামক হয়ে উঠছে সিসিটিভির ফুটেজ
- কড়া বার্তায়ও থামছে না ‘মব’, ১০ মাসে হত্যা ১৭৪
- বড় বড় গর্তে গতি হারাচ্ছে হাতিরঝিল সড়ক
হাতিরঝিল প্রকল্পটি এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৩০২ একর জমির ওপর বাস্তবায়ন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পটি ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজারকে যুক্ত করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০২১ সালের ৩০ জুন রাজউকের কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। মূলত এরপর থেকেই ঝিলটিতে অব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা ঘাটতি দেখা দেয় বলে জানান চলাচলকারীরা।
‘সেনাবাহিনী হাতিরঝিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজউককে হস্তান্তরের পর দীর্ঘদিন তা অরক্ষিত ছিল। ফলে ঝিলটি ক্রমেই তার সৌন্দর্য হারায়। ক্রমান্বয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। পরে আনসার বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।’
গত বছরের ১ জুলাই হাতিরঝিলের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় সরকারি সংস্থা আনসার বাহিনীকে যুক্ত করেছে রাজউক। ওইদিন হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনা ভবনে এক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১১টার পর দর্শনার্থীদের হাতিরঝিল ত্যাগের অনুরোধ করেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। তখন আনসার বাহিনীকে হাতিরঝিলের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার পর কেন রাত ১১টার মধ্যে হাতিরঝিল ত্যাগ করতে বলা হলো, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে রাজউক।
হাতিরঝিল সংলগ্ন রামপুরার মহানগর প্রজেক্ট। এ প্রজেক্টের বাসিন্দা লিটন সরকার। সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে ঝিলপাড়ে ঘুরতে বের হন। এ সময় আলাপকালে লিটন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সেনাবাহিনী হাতিরঝিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজউককে হস্তান্তরের পর দীর্ঘদিন তা অরক্ষিত ছিল। ফলে ঝিলটি ক্রমেই তার সৌন্দর্য হারায়। ক্রমান্বয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাও কমতে থাকে। পরে আনসার বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। প্রায়ই ঝিলে ছিনতাই, মাদক বেচাকেনা হয় বলে খবর পাই। পর্যাপ্ত আলোও নেই।’
- আরও পড়ুন
- চাঁদা না দিলেই দোকান বন্ধ, ব্যবসায়ীদের মারধর
- ‘আরে বেটা লাশ ফালাই রাখছি, দেখছ না? এইডা তোল’
- ব্যবসায়ীদের কড়া বার্তা দিতেই সোহাগকে হত্যা করে বুনো উল্লাস
গত ১২ জুলাই বিকেলে হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা অংশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে যান মহাখালীর আমতলীর বাসিন্দা ইফতেখারুল ইসলাম। সেখানে কথা হয় তার সঙ্গে।
ইফতেখারুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাধারণত প্রতি শুক্রবার হাতিরঝিলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে যাই। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই ঝিলপাড়ে কেমন একটা থমথমে পরিবেশ কাজ করে। সারাক্ষণ ছিনতাই আতঙ্কে থাকতে হয়। অনেক জায়গায় সড়কবাতি নেই। চলাচল করতে ভয় লাগে। নগরীর মধ্যে এমন একটা সুন্দর ঝিলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো দরকার।’

হাতিরঝিল সংলগ্ন তেজগাঁওয়ে বেশ কয়েকটি বস্তি রয়েছে। মহাখালীর সাততলা বস্তি থেকেও হাতিরঝিলের দূরত্ব খুব বেশি নয়। এসব বস্তি থেকে প্রতিদিন বিকেলে কিশোর গ্যাংয়ের অনেক সদস্য হাতিরঝিলে আড্ডা দেয় বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও কুনিপাড়ার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর।
তিনি বলেন, ‘রাত যত গভীর হয়, ঝিলপাড়ে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত তত বাড়ে। আর ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ফলে আগের মতো কেউ খুব সকালে ঝিলপাড়ে হাঁটতে আসে না।’
১৩ জুলাই সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিরঝিলের বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিচ্ছেন আনসার সদস্যরা। এর মধ্যে মধুবাগ সেতুর নিচে, পুলিশ প্লাজা অংশ, রামপুরায় আলাদা কয়েকটি অংশে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তবে মগবাজার, এফডিসি মোড়ের বাইরে ঝিলের আর কোথাও আনসার সদস্যদের দেখা যায়নি। এছাড়া ঝিলের কোথাও সিসি ক্যামেরাও দেখা যায়নি।
হাতিরঝিল ব্যবস্থাপনা ভবন সূত্র জানায়, এখন হাতিরঝিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ১১৮ জন আনসার সদস্য কাজ করছেন। তারা তিন শিফটে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তবে হাতিরঝিলের আয়তন অনুযায়ী আনসার সদস্য আরও দরকার।
বাংলাদেশ আনসার বাহিনী ঢাকা পূর্ব জোনের জোন কমান্ডার হাসান আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন হাতিরঝিলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভালো। আনসার সদস্যদের তৎপরতায় এখন হাতিরঝিলে ছিনতাই নেই বললেই চলে।’
- আরও পড়ুন
- প্রয়োজন হলে চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রাজপথে নামবো
- মিরপুরে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাই: দুই আসামি কারাগারে
- অ্যাপে ট্র্যাপ, টাকা গায়েব
তিনি বলেন, ‘আগে প্রায়ই খবর আসতো, হাতিরঝিলে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ঝিলের বিভিন্ন স্থানে লাশ ভেসে উঠতো। কিন্তু আনসার সদস্যরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন একটি ঘটনাও ঘটেনি।’

যদিও হাতিরঝিল থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি ভোরে হাতিরঝিলে রিকশা ছিনতাইয়ের সময় চাকুসহ দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করা হয়। গত ২২ মার্চ হাতিরঝিলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার একটি চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। বিলাসবহুল গাড়ির বিশেষ চেম্বারে লুকানো ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। মূলত তারা হাতিরঝিলকে মাদক বেচাকেনার হাট হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়া এই দুটি ঘটনার বাইরে দু-একদিন পরপর হাতিরঝিলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। ছিনতাইয়ের শিকার অনেকেই থানায় অভিযোগ দেন, আবার অনেকে অভিযোগ ছাড়াই চলে যান।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাতিরঝিল ও সংলগ্ন এলাকাগুলোর নাগরিক নিরাপত্তা বা সেবা দিতে দিনে ২৪ ঘণ্টায় তাদের পাঁচটি টহল দল কাজ করে। এর মধ্যে আরও পাঁচটি মোটরসাইকেলে টহল দেওয়া হয়। এ টহলের অন্যতম লক্ষ্য হাতিরঝিলে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কতটা সক্ষম, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. রাজু বলেন, ‘ঢাকার অন্য এলাকার তুলনায় হাতিরঝিলে চুরি-ছিনতাই অনেকটাই কম। এখানে নাগরিক নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।’
হাতিরঝিলে ঘটা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দুর্ঘটনা
২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি হাতিরঝিলে দৈনিক সময়ের আলোর সাংবাদিক হাবীব রহমানের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। মৃত্যুর এতদিন পরও কারণ খুঁজে পায়নি পুলিশ।
২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল ফয়েজ নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এর পাঁচদিন পর ২০ এপ্রিল হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় রবিন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে বাড্ডা থানা পুলিশ।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতন ঘটে। পরদিন সকালে হাতিরঝিল থেকে একাধিক মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা।

২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট মধ্য রাতে হাতিরঝিলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি-টিভির সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাহানুমা ঝিলের পানিতে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তারপরও সারাহর মৃত্যুর কারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাতিরঝিল থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশ বলেছিল, ওই কিশোরীকে দক্ষিণখান থেকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ ও হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছিল হাতিরঝিলে।
চলতি বছরের গত ৫ মে হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার পাশের পার্ক এলাকা থেকে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত কিশোরী সাবিনা আক্তার (১৭) নেত্রকোনার বারহাট্টা থানাধীন আন্দারদিয়া এলাকার জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে।
সড়কে গর্ত, যানবাহনের ধীর গতি
হাতিরঝিলের একমুখী সড়কের বেশ কিছু অংশে বড় আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝিলের একমুখী সড়কে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে যান চলাচলে। যানবাহনের ধীরগতি তৈরি করছে যানজট। কিন্তু বারবার নজরে আনার পরও সড়ক মেরামতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল রাজউকের সম্পত্তি। এ ঝিলের চারপাশে একমুখী প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিরঝিলের তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া অংশের সড়কে পিচঢালাই, ইট, খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব গর্তে আবার বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে দূর থেকে গর্তের পরিমাণ বোঝা যায় না।
তারা বলছেন, এ কারণে মগবাজার, এফডিসি, সাতরাস্তা হয়ে আসা যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িগুলো সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে। এতে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
একইভাবে হাতিরঝিলের এম্ফি থিয়েটার, পুলিশ প্লাজা, দক্ষিণ বাড্ডা, রামপুরার বিভিন্ন অংশেও অসংখ্য গর্ত দেখা গেছে। এ কারণে সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও অন্য গাড়িগুলো হঠাৎই থেমে যাচ্ছে। চালকেরা হেলেদুলে রাস্তায় চলাচল করছেন। কিছু ক্ষেত্রে গর্তে দ্রুতগামী গাড়ির চাকা পড়ে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
পুলিশ প্লাজার পূর্ব পাশেও হাতিরঝিল সড়কে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তেও পানি জমে রয়েছে। ফলে এ এলাকায়ও যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে।
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাতিরঝিলের সড়কে বড় গর্ত হয়ে জনদুর্ভোগের সুযোগ নেই। দ্রুত সময়ে তা সংস্কার করা হবে। বিষয়টি রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হচ্ছে।’
এমএমএ/ইএ/এএসএ/এমএফএ/জিকেএস