ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিএমইউতে সেমিনার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ৮২ শতাংশই ভুগছেন বিষণ্নতায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২৫

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে সাড়ে ৮২ শতাংশই বিষণ্নতায় এবং ৬৪ শতাংশ তীব্র আঘাত পরবর্তী মানসিক চাপে ভুগছেন।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (বিএমইউ) এক সেমিনারে এ তথ্য জানান বক্তারা। সেমিনারে বিষয়বস্তু ছিল- ‘বিয়ন্ড দ্য হেডলাইনস: মেন্টাল হেলথ কনসিকোয়েন্সেস অফ দ্য জুলাই আপরাইজিং অ্যান্ড মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি’।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাব-কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেসা এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. খালেদ মাহবুব মোর্শেদ মামুন।

বিএমইউ’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, ট্রমা, সহিংসতা ও মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা না করে সুরক্ষায় সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে।

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির শিকারদের মানসিক স্বাস্থ্য

সেমিনারে বলা হয়, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবিধ্বস্ত হয়ে সৃষ্ট ট্র্যাজেডির শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং দ্রুত মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিএমইউ, ডিএমসিএইচ, এনআইএমএইচ, সাজেদা ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাকের সমন্বয়ে বিশেষ মানসিক স্বাস্থ্য টিম গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

গবেষণা উপস্থাপনা

মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ তার প্রবন্ধে বলেন, ‘শৈশবের ট্রমা ও সহিংসতা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলে। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ ও দ্রুত সহায়তা দিলে দীর্ঘমেয়াদি মানসিক রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।’

সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামসুল আহসান জানান, বিএমইউ, নিটোর ও এনআইইউতে ভর্তি হওয়া ২১৭ জন আহত রোগীর মধ্যে সাড়ে ৮২ শতাংশ বিষণ্নতায় এবং ৬৪ শতাংশ তীব্র আঘাত পরবর্তী মানসিক চাপে ভুগছেন। বিশেষ করে গ্রামীণ রোগীরা চিকিৎসা-পরবর্তী অনিশ্চয়তার কারণে বেশি উদ্বিগ্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির শিকারদের জন্য ইতোমধ্যে হটলাইন সেবা চালু হয়েছে। এছাড়া কাউন্সেলিং, গ্রুপ সেশন ও প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্তদের মধ্যে বার্ন ভিক্টিম ও ইনজুরডদের মানসিক অবস্থা নিরূপণ করে চিকিৎসা জরুরি।

বক্তারা বলেন, শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় পরিবার, শিক্ষক ও সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দ্রুত হস্তক্ষেপ মানে ভবিষ্যতের জটিলতা প্রতিরোধ করা।

এসইউজে/এনএইচআর/এমএস