ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণা: সংঘবদ্ধ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৩৮ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দিনগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭নভেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানান। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন শাহানা শিকদার (৪৫), সামীর (২৩) ও হানিফ বেপারী (৫৮)।

জসীম উদ্দিন খান বলেন, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে একই ফ্ল্যাট বিক্রয়ের কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে আসছিল। তারা প্রথমে ফ্ল্যাটটি বিক্রির প্রস্তাব দিতো। পরে বলতো ফ্ল্যাটটি মর্টগেজ রাখা আছে, মালিকের জরুরি টাকার প্রয়োজন বা দ্রুত টাকা দিলে রেজিস্ট্রি করে দেবে। এভাবে তারা ধাপে ধাপে অগ্রিম টাকা নিতো, আবার সময়ক্ষেপণ করে আরও টাকা দাবি করতো।

চক্রটি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ ও প্রলোভন দেখিয়ে একজন ভুক্তভোগীকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য আকৃষ্ট করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ফ্ল্যাট কেনার আগ্রহ দেখালে চক্রটি তার কাছ থেকে বায়নানামার মাধ্যমে ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে রেজিস্ট্রি না দিয়ে তারা গড়িমসি শুরু করে। এরপর গত ২৭ আগস্ট ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি ব্যাংকের সামনে ভুক্তভোগী ও তার সহকারীকে মারধর করে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তভার গ্রহণের পর সিআইডি ব্যাংক লেনদেন যাচাই, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ এবং ভুক্তভোগীর বর্ণনার ভিত্তিতে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তের তথ্য জানিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বলেন, চক্রটি একই ফ্ল্যাট দেখিয়ে আগে আরও কয়েকজনের কাছ থেকেও অর্থ হাতিয়েছে। এর মধ্যে মো. শাহাদাৎ হোসেনের কাছ থেকে ১২ লাখ, মো. মাহবুবুর রহমানের কাছ থেকে ৯ লাখ ৪০ হাজার এবং মো. নান্নু মিয়া ইমনের কাছ থেকে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি। শুধু তাই নয়, সিআইডির তদন্তে দেখা গেছে, গত ২৮ আগস্ট চক্রটি একই ফ্ল্যাট ২৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় রওশন আরা নামের একজন নারীর কাছে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্য ও সহযোগীদের শনাক্তে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

কেআর/এমএমকে/জেআইএম