ঢাকা-আইডিয়াল কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ নিয়ে যা বললেন ডিসি মাসুদ
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম
ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকস্মিক উত্তেজনার ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, সকালে কী কারণে ঘটনা শুরু হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আইডিয়াল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রথমে ঢাকা কলেজের একটি বাসে হামলা চালায়-এমন অভিযোগের পর পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে তিনি বলেন, বাসে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের দিকে এগিয়ে যায়। তখনই দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বাইরে নেই বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, আইডিয়াল কলেজের সামনে থাকা কিছু শিক্ষার্থীও পরিস্থিতির সময় আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ, কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন
‘শান্তিচুক্তি’ ভঙ্গ করে ফের সংঘর্ষে জড়ালো ঢাকা-আইডিয়াল কলেজ
ফের সংঘর্ষে জড়ালো ঢাকা-আইডিয়াল কলেজ
আলোচনার পরামর্শ পুলিশের, রাজি নন শিক্ষার্থীরা
ঘটনার পেছনে কোনো ‘বহিরাগত’ বা নির্দিষ্ট কোনো চক্রের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না-তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান ডিসি মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, আমরা আইডিয়াল কলেজের প্রশাসনসহ সবাইকে বলেছি, যদি কোনো ভিডিও, প্রমাণ কিংবা সূত্র থাকে, তা যেন আমাদের দেয়। এসব আমরা যাচাই করব, যেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েপড়া আহাদ নামে এক শিক্ষার্থীর ছবি আসলে আগের ঘটনার বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ছবির ছেলেটি বর্তমানে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী নয়। আগে পড়ত, এখন তেজগাঁও কলেজের ছাত্র। বিষয়টি আমাদের আগে জানা ছিল না, এখন জানলাম।
ডিসি আরও জানান, এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরাও ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসের ভেতরে ফিরে গেছে। তবুও পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ৯ নভেম্বর নিউমার্কেট থানার মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘শান্তি চুক্তি’ করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে হাতে গোলাপ আর মুখে বন্ধুত্বের স্লোগানে ভবিষ্যতে আর সংঘর্ষে না জড়ানোর অঙ্গীকার করেছিল উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এক মাসও টিকল না সেই অঙ্গীকার। আজ ফের পাল্টাপাল্টি হামলা-সংঘর্ষে জড়িয়েছে উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা।
এনএস/এমআরএম/জেআইএম