দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
নির্বাচনের ‘পক্ষশক্তি’ অনেক, তবে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা কাটছে না
সভায় বক্তব্য রাখেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
জাতীয় নির্বাচনের ‘পক্ষশক্তি’ অনেক হলেও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা নিয়ে যে শঙ্কা, সেটি দূর হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন ক্রমান্বয়ে একটি অবধারিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নাগরিকরা নির্বাচন চায়, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নির্বাচন চায়, সেনাবাহিনীর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন চায় এবং অন্তর্বর্তী সরকারও নির্বাচন চায়। ফলে নির্বাচনের পক্ষের শক্তি অনেক। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন করা নিয়ে শঙ্কা সেই শঙ্কা দূরীভূত হচ্ছে না।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ‘এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ’ আয়োজিত প্রাক-নির্বাচনী আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর করে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই অনুষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন হবে সেটা সবাই মেনে নিচ্ছে। কিন্তু ভালো নির্বাচন হবে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে—এ নিয়ে শঙ্কা এখনো কাটছে না। ড. ইউনূস বলেছেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন করে দেখাবেন। আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমাদের দেশটা ক্ষমতাকেন্দ্রিক। দেশকে নাগরিকবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি জায়গায় নাগরিক ফোরাম গড়ে তুলতে হবে, নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নির্বাচিত সরকারের কাছে প্রত্যাশা তুলে ধরেন। তারা পরবর্তী সরকারের কাছে নিরাপত্তা, সুশাসন, মানবিক ও নাগরিক অধিকার, অসাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতিমুক্ত দেশ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি এবং তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদার বিষয়গুলো প্রধান্য দেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর সেকান্দার খান, অপকা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাহসিনা রহমান, উত্তরণ-চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ সাধারণ সম্পাদক তানিয়া আক্তার মাহি প্রমুখ।
সভা থেকে জানানো হয়, আগামী ২০ ডিসেম্বর ৮টি জেলার মানুষ ও ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ সমাজের প্রত্যাশাগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে নাগরিক ইশতেহার হিসেবে তুলে ধরা হবে।
এমআরএএইচ/এমকেআর/জেআইএম