ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দিল্লির প্রতিক্রিয়া

ভারতের মাটি কখনো বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে ব্যবহার হয়নি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের ভূখণ্ড কখনো বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোনো কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার হয়নি বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু দাবিকে প্রত্যাখ্যানও করেছে দিল্লি।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা সবসময় পুনর্ব্যক্ত করেছি যে—বাংলাদেশে মুক্ত, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়া উচিত। এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন
দিল্লির দায়িত্বশীল ভূমিকা চায় ঢাকা, ভারত চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন
শেখ হাসিনাই ঠিক করবেন তিনি কতদিন ভারতে থাকবেন: জয়শঙ্কর

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলছে, আমরা আশা করি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ভারত জানায়, ভারত কখনো তার ভূখণ্ডকে বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করতে দেয়নি।

এদিন সকালে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের পলাতক সদস্যরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিকল্পনা, সংগঠন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

আরও পড়ুন
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারত রাজি না হলে কিছু করার নেই

হাদির হামলাকারীরা ভারতে ঢুকলে গ্রেফতার করে ফেরত পাঠানোর আহ্বান

এ ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বন্ধে ভারতের জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে নিয়মিত উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জেপিআই/এমকেআর/এএসএম