ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কমিশনে যা করেছি তার প্রমাণ রেখে গেলাম: নাছিমা বেগম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, মানবাধিকার কমিশনে যা করেছি তার প্রমাণ রেখে গেলাম। আগামী কমিশন এখান থেকে কিছু দিকনির্দেশনা পাবে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ পূর্তিতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

পঞ্চম কমিশনের তিন বছরের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা একটি ধারা তৈরি করেছি। আগে সরকারকে প্রতিবেদন দিতে বললেও তারা অনেক ক্ষেত্রেই সেটা দিতেন না। এখন সরকারকে বলি প্রতিবেদন দিতে, যদি না দেয় তখন কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এতে প্রতিবেদন দিয়ে দেয়, না হলে ভার্চুয়ালি আমরা শুনানি করে তাদের বক্তব্য নেই।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সারাদেশে একটি জাগরণ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। এছাড়া মানবাধিকারকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করতে চেয়েছি, এজন্য কাজও করেছি; কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আশা করি আগামী কমিশন এগুলো নিয়ে কাজ করবে।

চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, মানবাধিকার কমিশন নামে অনেক ভুয়া কমিশন গণমাধ্যমে দেখা গেছে। মানবাধিকার নিয়ে অনেক সংগঠন রয়েছে আমরা সেগুলোর খোঁজ নিচ্ছি। আগামী কমিশন সেটা অব্যাহত রাখতে পারে।

কমিশনে যা করেছি তার প্রমাণ রেখে গেলাম: নাছিমা বেগম

রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি পালনে হামলার শিকার হলে মানবাধিকারের লঙ্ঘন কি না জানতে চাইলে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিম বেগম বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সহায়তা প্রয়োজন। এসব হামলার বিষয়ে যদি অভিযোগ না নেই তবে সেটি নিশ্চয়ই মানবাধিকার লঙ্ঘন।

মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরই করোনা মহামারি শুরু হয়। ইবোলা ভাইরাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনাকালে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। তখনকার সময় বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের শ্রমিকদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। করোনা ছড়াবে এ কথা বলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছিল। তখন তাদের করোনা পরীক্ষা করে পরিবারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

সভায় মানবাধিকারকর্মী, বিভিন্ন সংস্থার সদস্য, মানবাধিকার কমিশনের সদস্যসহ কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএসএম/এমআইএইচএস/জেআইএম