মীর কাসেমের রায় : ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে সুপ্রিমকোর্ট এলাকা ও রাজধানীসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আপিলটি দৈনন্দিন কার্যতালিকার ১ নম্বরে রাখা হয়েছে। রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের প্রতিটি গেটে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আদালতের উদ্দেশ্যে আসা সবার ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে মেটাল ডিটেক্টর।
বুধবার সকাল ৯টার পর মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে দেয় আপিল বিভাগ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জাগো নিউজকে বলেন, রায়কে ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য তিন স্থানেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। বিভিন্ন স্থানে লাগানো সিসি টিভি ক্যামেরাও মনিটরিং করা হচ্ছে। তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জাগো নিউজকে জানান, রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কেউ নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে র্যাব।
র্যাবের প্রতিটি ব্যাটালিয়নকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হবে।
জেইউ/জেএইচ/পিআর
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ঢাকায় উদীচীর কার্যালয়ে আগুন নিভলো আধা ঘণ্টা পর
- ২ সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় সাহসী পাচ্ছে হামলাকারীরা: আর্টিকেল নাইনটিন
- ৩ ওসমান হাদির জানাজা ঘিরে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা
- ৪ হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ফ্রান্সের, রাজনৈতিক সহিংসতার কঠোর নিন্দা
- ৫ প্রতিশোধ-বিদ্বেষ কেবল বিভাজন বাড়াবে: জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান