ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

ফেলে আসা স্বদেশ

‘ভালো থেকো ফুল মিষ্টি বকুল ভালো থেকো’

তাসলিমা আক্তার | প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশে বাংলাদেশিদের জীবন এক টুকরো পরদেশি মেঘের মতো। ঘুরি ফিরি বিদেশে আর মন পড়ে থাকে দেশে। তবে কেন এই বিদেশযাত্রা! তবু কেন মানুষের এই বিদেশমুখিতা?
আমি দুই বছরের বেশি সময় হলো দেশ ছেড়েছি। হুটহাট সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল বিদেশযাত্রার। দেশে আমি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে ভালো একটা চাকরি করতাম। মোটামুটি ভালো জীবনযাত্রা বলতে যা বোঝায়, তার সবই ছিল আমার। তবুও কেন দেশ ছাড়লাম—এই প্রশ্নের অনেক অনেক উত্তর আছে।
জীবন এক পরিযায়ী পাখি।

আমি বাংলাদেশ থেকে পরিবারসহ চলে এলাম আফ্রিকার একটা দেশে। ভৌগোলিক সীমানার দূরত্ব প্রায় নয় হাজার কিলোমিটার। চল্লিশোর্ধ্ব জীবনের কাটিয়ে যাওয়া প্রতিবেশ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু সব ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় মনটা বড় কেঁদেছিল। ফেলে আসবার সময় আমার ঘরের বারান্দা আর ছাদের ওপর নিজ হাতে গড়ে তোলা বাগানের ফুলগুলোকে ছুঁয়ে বলেছিলাম,
“ভালো থেকো ফুল, মিষ্টি বকুল,
ভালো থেকো।”

ঊনিশ ঘণ্টা ফ্লাই টাইম, ব্যাংককে আর আদ্দিস আবাবায় (ইথিওপিয়ার রাজধানী) ট্রানজিটসহ পঁচিশ ঘণ্টার দীর্ঘ টায়ারিং জার্নি শেষে আমরা পৌঁছালাম আমাদের গন্তব্যে। এখানে ইমিগ্রেশন শেষ করে যখন লাগেজ বেল্টের দিকে যাচ্ছি, তারা আমাদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো। আমাদের সঙ্গে ছিল আমাদের প্রাণপ্রিয় পোষা বেড়াল। ওকে দেশ থেকে বের করতে গিয়ে আমাদের একদম জেরবার হয়ে গিয়েছিল। মানুষের চেয়ে একটা পোষা প্রাণীর কাগজপত্র বের করতে আমাকে দৌড়াতে হয়েছিল বাংলাদেশ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন অফিসের মতো কঠিন সব দপ্তরে। সম্মুখীন হতে হয়েছিল ভয়াবহ সব অপ্রীতিকর প্রশ্নের। কিন্তু এদেশের ইমিগ্রেশন ওর কাগজপত্রগুলোও ঠিকমতো দেখল না। শুধু হাসিমুখে ওর দিকে তাকিয়ে জানালো,
“আমাদের দেশে অনেক পশুপাখি আছে, তুমিও নতুন যোগ হবে। ভালো থাকবে।”

কোঁকড়ানো চুলে বেণি করা একটি শিশু তার হাতের প্যাকেটটি কোথায় রাখবে জানতে চাইলে ঘরের কোণ দেখিয়ে আমি বিশুদ্ধ বাংলায় বললাম, “ওখানে রাখো।” মেয়েটি তার চোখে অবাক বিস্ময় ফুটিয়ে তুললো। আমি হেসে তার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বললাম।

আমরা লাগেজ পার হয়ে এয়ারপোর্টের বাইরে এলাম। সবুজে ঘেরা এক শহর। আঁকাবাঁকা পাহাড়ের চূড়া চোখে পড়ছে। ইয়া বিশাল বিশাল ক্যাকটাসের সারি। বড় বড় পাথরের চাঁই। আমি অবাক চোখে নীহার করছিলাম সবকিছু। তখন মার্চ মাসের শেষ দিক। এখানে একটু একটু শীত পড়তে শুরু করেছে। বেলা ও পরে এসেছে। গাছে গাছে খানিক কুয়াশার আবছায়া। আমার মনে হলো, আরে এতো আমার সিলেট শহরের মতো দেখতে! সেই প্রথম প্রহরেই বিদেশের সঙ্গে মিলাতে শুরু করলাম স্বদেশকে!
গাড়িতে উঠে চোখে ধোঁকা লাগছে। জন নেই, মনিষ্যি নেই, এ কেমন দেশ! আমি আমার ড্রাইভার কাম স্বামীকে জিজ্ঞেস করলাম,
“আজ কি কোনো ছুটির দিন—রাস্তায় এত কম মানুষ কেন?”
সে উত্তরে হাসলো। জানালো,
“এই দেশে এত গিজগিজে মানুষ নেই।“

আমি আমার অফিসের ছুটির সময়ে মহাখালির ঘরে ফেরতা মানুষের ঢল মনে করলাম। যেদিকে চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ! আমরা এই সময়টাকে বলতাম, “মাইনষের মাথা মাইনষে খায়!”

‘ভালো থেকো ফুল মিষ্টি বকুল ভালো থেকো’প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য

আফ্রিকার কোনো দেশের কথা শুনলেই মানুষ হায় হায় করে উঠতো! আমিও তেমনি জেনেছিলাম, এই দেশ চোর ডাকাতে ভরা! শুনেছিলাম, রাস্তায় বের হলেই স্থানীয়রা বিদেশীদেরকে গুলি করে মেরে ফেলে। আস্তে আস্তে জেনেছি, এগুলো সবই ছিল ভীষণ এক মিথ্যা। জেনেছি, সারা পৃথিবী জুড়ে এ এক রেসিজমের চূড়ান্ত প্রপাগান্ডা। কৃষ্ণাঙ্গ মাত্রকেই অভিনব উপায়ে ভয়াবহ অপরাধ প্রবণ মানুষ হিসেবে বুঝানো হয়। অথচ এদেশে থাকতে গিয়ে দেখেছি, এখানকার মানুষ কতটা সভ্য, কতটা নিয়ম মেনে চলে!

এক্সেপশন সব দেশেই আছে। সব দেশের মানুষই ভালোয়-মন্দয় মিশানো থাকে। এখানেও ব্যতিক্রম নয়। তবে, তুলনামূলকভাবে এদেশের মানুষেরা অনেক এগিয়ে আছে। নারী স্বাধীনতার যে সব ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করতে গিয়ে আমরা এই দুই হাজার পঁচিশে এসেও জীবন দিয়ে দিই, সেই স্বাধীনতা এরা দেড়, দু’শ বছর আগেই অর্জন করেছে। কিংবা এই বৈষম্যগুলো গোড়া থেকেই এখানে ছিল না।

প্রথম দিন এসে উঠলাম আগে থেকে ঠিক করে রাখা অ্যাপার্টমেন্টে। দেশ ছেড়ে আসার দীর্ঘ প্রস্তুতি, ভ্রমণের ক্লান্তি সব মিলিয়ে এতটাই পরিশ্রান্ত ছিলাম যে, ঘরে এসে আমার চোখ বুজে আসছিল ঘুমে। ছোট্ট একটা ঘুম সেরে উঠে হাতের কাছে মোবাইল ফোনটা না পেয়ে চিৎকার করে উঠলাম, ভাবলাম জানালা দিয়ে চুরি করে ফোনটা কেউ নিয়ে গিয়েছে। খানিক পরেই দেখলাম অবচেতনে ফোনটা রেখে দিয়েছিলাম বালিশের নিচে।

ছেলে-মেয়ে, আমাদের তিন দু গুণে ছয়টা ঢাউশ সাইজের লাগেজ আর হ্যান্ড স্যুটকেসে পুরো বাংলাদেশকে ভরে নিয়ে এসেছি। ওগুলো আনপ্যাক না করেই আলসেমি করে বারান্দায় গেলাম। আমাদের অ্যাপার্টমেন্টটা ছিল তিনতলার উপরে। বারান্দা থেকে কিছু দূরের একটা পাহাড় দেখা যাচ্ছে। কাঁটাওয়ালা গাছগুলোর ঝরে পড়া পাতারা আগাম জানান দিচ্ছে শীতের। অ্যাপার্টমেন্ট কম্পাউন্ডে বাচ্চারা খেলা করছে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও ঘরে কোনো মশার পিঁ পিঁ শব্দ নেই। চারিদিকে কেমন একটা আদর আদর পরিবেশ।

ততক্ষণে আমাকে ঘুমে রেখেই বাচ্চারা তাদের বাবার সঙ্গে বের হয়ে গিয়েছে গ্রোসারি শপে। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম আরও কিছু বাচ্চাসহ তারা ঘরে ঢুকছে। সব বাচ্চাদের হাতে কিছু কিছু গ্রোসারি সামগ্রীর প্যাকেট। নিচে থেকে তিনতলায় উঠার সময় জিনিসপত্র ওপরে উঠাতে সবাই সবাইকে সাহায্য করে। কোঁকড়ানো চুলে বেণি করা একটি শিশু তার হাতের প্যাকেটটি কোথায় রাখবে জানতে চাইলে ঘরের কোণ দেখিয়ে আমি বিশুদ্ধ বাংলায় বললাম,
“ওখানে রাখো।”

মেয়েটি তার চোখে অবাক বিস্ময় ফুটিয়ে তুললো। আমি হেসে তার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বললাম।
এখানকার স্থানীয়রা তাদের নিজস্ব ভাষায় এবং ইংরেজিতে কথা বলে। পড়াশোনা বাংলাদেশের ইংলিশ মিডিয়ামের মতো। এ-লেভেল বা এইচএসসি পর্যন্ত বাধ্যতামূলক সবাই পড়ে। এরা ব্রিটিশ কারিকুলাম অনুসরণ করে। পাবলিক আর প্রাইভেট দুই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়রা বেশিরভাগই পাবলিক স্কুলে পড়ে। এটা সম্পূর্ণ অবৈতনিক।

‘ভালো থেকো ফুল মিষ্টি বকুল ভালো থেকো’সাফারি গাড়ি

শুধু তাই নয়, স্কুলে সকালে এবং দুপুরে মানসম্মত খাবার দেওয়া হয়। ক্লাস ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত প্রাথমিক ধরা হয়। সিক্স থেকে টুয়েলভ মাধ্যমিক। এখানে বলা হয়, ফর্ম ওয়ান থেকে ফর্ম সেভেন। ফর্ম ফাইভে এরা ‘ও’ লেভেল এবং সেভেনে ফর্মে ‘এ’ লেভেল পরীক্ষা লেখে। তারা আফ্রিকান এক্সেন্টে ইংরেজি বলে, যেমনটা আমরা সিনেমায় দেখি। ব্রিটিশ বা আমেরিকান ইংরেজির চেয়ে তাদের উচ্চারণে রয়েছে ভিন্নতা। প্রথমে আমার একটু অসুবিধা হলেও কয়েক মাসে ঠিক হয়ে গিয়েছিলো।

উচ্চ শিক্ষার আগে অনেক শিক্ষার্থীই কর্মমুখী হয়ে পড়ে। যার কারণে উচ্চ শিক্ষার উপর সরকারিভাবে অনেক প্রণোদনা কর্মসূচি রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয়দের জন্য অবৈতনিক, উল্টো ছেলেমেয়েদেরকে টাকা দেওয়া হয় যাতে করে তারা স্বচ্ছন্দে বই-খাতা বা আনুষঙ্গিক প্রয়োজন মেটাতে পারে। সেই টাকার পরিমাণ বাংলাদেশে প্রায় পনেরো হাজারের মতো।

অতি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য আফ্রিকা সবসময়ই বিখ্যাত। পুরো দেশটাই মনে হয় একটা বাগান। বাড়িতে আলাদা করে বাগান করার প্রয়োজন নেই। তবুও বেশিরভাগ গৃহস্থই বাড়ির ফ্রন্ট ইয়ার্ড, ব্যাক ইয়ার্ডে বাগান করে, শস্য ফলায়। আমরা প্রথম অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ছয় মাস পরেই শিফট করি। চলে আসি একটা একক বাসায়, এখানে বলা হয় স্ট্যান্ড এলোন। এই বাড়িগুলোর তিনপাশে থাকে প্রচুর খালি জায়গা।

বাসার সামনের দিকে খোলা পোর্চ, এরপরে ফ্রন্ট ইয়ার্ড। এক কোণে থাকে গাড়ির গ্যারেজ। বাকি জায়গার কিছুটা পেভিং করা আর বেশি অংশটা বাগান করার উপযোগী মাটি ভরাট করা থাকে। বাড়ির সাইড আর ব্যাক ইয়ার্ডেও পেভিংয়ের পর বাগানের জন্য জায়গা থাকে। এতো গেলো শহরের বাড়ির কথা! কান্ট্রি সাইডে আরও অনেক জায়গা নিয়ে বাসাবাড়ি থাকে। এরা নিজেরা নিজেদের ভেজিস আর ভুট্টা ফলায়। বাড়িতে বাড়িতে কমলা, ট্যাঞ্জারিন, লেমন, পেঁপে, আম এগুলো সবচেয়ে কমন গাছ। গাছ ঝেঁকে ধরে থাকে ফল। এত ফলন হয় যে, এক পরিবারের পক্ষে খেয়ে শেষ করা সম্ভব হয় না। অনেক সময় বানরেরা এসে খেয়ে যায় কিংবা গাছের নিচে পেকে পড়ে থাকে অভুক্ত ফল-ফলারি।

দুই বছরে যে ব্যবস্থাটি দেখে আমার ঘোর কাটেনি তাহলো, রোড ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা। প্রায় জ্যামহীন এক শহর। চমৎকারভাবে ট্র্যাফিক নিয়ম মেনে চলে এরা। গাড়ির হর্ন বাজানো একটি গর্হিত অপরাধ। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ হর্ন বাজায় না। ট্র্যাফিক সিগন্যালে লাঠি হাতে কোনো পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে না। সবাই নিয়ম মেনে চলছে। আমি বেশ রাতে দেখেছি, রাস্তার তিন পাশে কোন গাড়ি নেই কিন্তু রেড সিগন্যাল আছে বলে রাস্তায় একলা একটা গাড়ি সিগন্যাল বাতি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকবে। আবার আরেকটি মজা হলো, লেইন মেনে গাড়ি চালানো। এরা কোনো অবস্থাতেই লেইন ব্রেক করে না।

শহরের ভেতরে সিটবেল্ট বাঁধতে হবে, এটা দেশে থাকলে আমরা কস্মিনকালেও ভাবি না। কিন্তু এখানে গাড়িতে বসে প্রথমেই সিটবেল্ট গায়ে বাঁধতে হবে। পুলিশ ধরলে এর জন্যও টিকেট খেতে হবে। শহরে লোকসংখ্যা কম হওয়াতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কম। নব্বই ভাগই নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করে। এখানে গাড়ি কোনো বিলাসিতা নয় বরং নিত্য প্রয়োজন। গাড়ি ছাড়া জীবন অচল। এছাড়াও রয়েছে ট্যাক্সি, শেয়ার রাইড এবং উবারের মতো সার্ভিস— এখানে এই সার্ভিস গুলো দেয় ইন-ড্রাইভ ও ইয়াঙ্গো নামের দুটি কোম্পানি। ভাড়াও যথেষ্ট সাশ্রয়ী।

‘ভালো থেকো ফুল মিষ্টি বকুল ভালো থেকো’আকাশ আর পাহাড়ের মিতালি

সাংস্কৃতিক দিক থেকে এদেশের মানুষরা খুবই আনন্দপ্রিয়। গান এবং নৃত্য ছাড়া তারা চলতে পারেন না। রাস্তাঘাটে, দোকানপাটে এরা একটু বাদ্য বাজলেই শরীর মুচড়িয়ে নাচে। শুক্রবার ও শনিবার এখানে সাধারণত উইকেন্ড। শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয় বাড়িতে বাড়িতে পার্টি। গরুর মাংসের বারবিকিউ (ব্রাই) হলো পার্টির প্রধান খাবার। মাঝরাত পর্যন্ত পার্টি চলে। সেখানে হইহুল্লোড় হয়। কিন্তু রাত এগারোটার পর উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজানো নিষেধ। কেউ বাজালে ট্রিপল নাইনে ফোন করে কপ ডাকা যায়।

আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঙালি কমিউনিটির সাথে যূথবদ্ধ হয়ে থাকি। প্রায় সব উইকেন্ডে লং ড্রাইভে কোথাও বেড়াতে যাই। সিনেমার মতো সুন্দর সুন্দর জায়গায় যাই। প্রাণভরে উপভোগ করি। চারিদিকে এত আনন্দ, তবুও বুকের কোথাও যেন একটি শূন্যতা অনুরণন করে।

সব জায়গায় গিয়েই বাংলাদেশের সাথে মিল খুঁজে বেড়াই। কোনো একটা ভালো সিস্টেম দেখলে মনে হয়, আহা, এই সিস্টেমটা যদি বাংলাদেশে চালু করতে পারতাম! শীত আসে, গ্রীষ্ম যায়। আমরা দেশীয় উৎসব, পালা-পার্বনগুলো ঘটা করে পালন করি। বাংলাদেশে থাকতে যতটা পালন করতাম, হয়তো তার চেয়ে বেশিই এখানে করি। বিদেশে সব আছে, কিন্তু কী যেনো নেই। কোথায় যেনো খালি খালি লাগে।

আসলে, আমরা বাংলাদেশিরা যেখানেই যাই না কেন, বুকে করে নিয়ে যাই এক টুকরো স্বদেশ।

লেখক : কবি, বর্তমানে আফ্রিকা প্রবাসী।

এইচআর/জিকেএস

আরও পড়ুন