ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীরা ও আমাদের অবাক হওয়া

প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ০১ জুন ২০১৬

ফেসবুকে গত ২/৩ দিন যাবৎ একটা ভিডিওতে দেখলাম এক সাংবাদিক জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের খুব মৌলিক কিছু প্রশ্ন করছে (যেমন নেপালের রাজধানীর নাম, বর্তমান রাষ্ট্রপতির নাম, অপারেশন সার্চলাইট কি, স্মৃতিসৌধ কি এবং কোথায়, GPA, SSC বলতে কি বুঝায় ইত্যাদি) কিন্তু কেউই একটা প্রশ্নেরও উত্তর দিতে পারছে না। আর তাতে সবাই সেই ভিডিওতে খুব হতাশা এবং বিস্ময় প্রকাশ করে কমেন্ট করছেন। কিন্তু ব্যাপারটা কি আদৌ অবাক হবার মত হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া কিছু? আমার কিন্তু মনে হয় না সেটা। স্কুল কলেজের ছাত্র পড়ানোর অভিজ্ঞতা আমার বহুদিনের (৭-৮ বছর) আর একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর ২ শিক্ষকতা করেছি। যদিও আমি দেশ ছেড়েছি ২০০৭ সালে, তারপরেও মনে হয় প্রাসঙ্গিক কিছু কথা আমি এখনো বলতে পারব।

আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নামক একটা কিছু হত আর তাতে মোটামুটি এসএসসি পর্যায়ের বেশির ভাগ এবং এইচএসসি  পর্যায়ের অল্প কিছু প্রশ্ন থাকত। ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীরা বেশির ভাগ সেই পরীক্ষায় ফেল করতেন, কিন্তু তাতে তাদের ভর্তি হতে কোন সমস্যা হত না। ফেল করাদের বলা হত, তারা প্রকৌশলবিদ্যা পড়তে পারবে কিন্তু একটা Extra কোর্স করতে হবে, সেই কোর্সের নাম প্রিম্যাথ (Pre-Math). সেটা প্রিরিকুইজিট হিসেবে পাশ করলেই তারা ইলেক্ট্রিক্যাল বা কম্পিউটার কৌশল বিদ্যা পড়ার যোগ্যতা অর্জন করবে! (এখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে কিন্তু আমার এ লেখার উপজীব্য সেটা নয়)

আমাকে বলা হল সেই কোর্সটা ডিজাইন করতে। উদ্দেশ্য ছিল যাদের গণিতে একটু ঘাটতি আছে তাদেরকে এই কোর্স এর মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার যোগ্য করে তোলা। একটু খেয়াল করুন, যাদের জন্য কোর্সটা ডিজাইন করা তাদের গণিতে দখল এতই কম যে তারা এসএসসি পর্যায়ের অংকও ঠিকমত মেলাতে পারেনা, তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও ফেল করে। কিন্তু কোনভাবে ৩ মাসের একটা কোর্সের মাধ্যমে এইচএসসি পর্যায়ের  গণিতে এতটা পারদর্শী করে তুলতে হবে যাতে তারা প্রকৌশল পড়তে পারে। আমার একজন শিক্ষক ( ডঃ মোহাম্মদ আলী ) আমাকে একদিন বলেছিলেন, " ভাল ছাত্রদেরকে পড়িয়ে কোন কিছু শেখানোতে একজন শিক্ষকের আসল সামর্থ প্রকাশ পায় না, কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে একটা কিছু শিখিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তোলাই একজন শিক্ষকের আসল সার্থকতা" ।  নিঃসন্দেহে দুরুহ সেই কোর্সের ডিজাইনটা করলাম আমি এমনভাবে যাতে অন্তত সরলরেখার সমীকরণ, বৃত্তের সমীকরণ, ত্রিকোণমিতি, লগারিদম, ডিফারেন্সিয়েশন-ইন্টিগ্রেশন আর বলবিদ্যার খুব সাধারণ কিছু জিনিস শেখানো যায়। এসব বিষয় কিন্তু এইচএসসির  সিলেবাস এ অনেক বিশদভাবে আলোচনা করা হয় আর কোন ছাত্র সেটা পড়ে আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং এর বই পড়তে তার অসুবিধা হবার কথা নয়। যেহেতু তারা সেটা করেনি তাই এই প্রিম্যাথ কোর্স দিয়ে তাদেরকে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দেয়াই উদ্দ্যেশ্য। কিন্তু তখনও আমি জানতাম না আমার জন্য কি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে।

প্রথম ক্লাশে আবিষ্কার করলাম আমার ক্লাশের বেশির ভাগই আসলেই এসএসসি এর সূত্রগুলো ঠিকমত প্রয়োগ করতে পারে না। পাঠকদের সুবিধার্থে আমি কয়েকটা সত্যিকার উদাহরণ দিচ্ছি। (a+b)^3 এর সূত্র মাত্র ৩ জন ঠিকমত লিখতে পেরেছিল। পীথাগোরাসের নাম শুনে নাই এমন ছাত্র ছিল ৭-৮ জন। 3^2+ 4^2 = 5^2 এটা শিখিয়ে দেয়ার পরে কুইজে আমি দিলাম 6^2 + 8^2=? (উত্তরঃ 10^2),  মাত্র ২ জনের উত্তর সঠিক হয়েছিল।

Capture

sin(A+B), cos (A+B) এ সূত্রগুলো মুখস্ত ২-৩ জন ঠিকমত বলতে পারত কিন্তু কিভাবে এগুলো প্রয়োগ করতে তা কেউ জানত না! অথচ বই এর উদাহরণের সবচেয়ে প্রথম দিকে এসব থাকত । আমার সবচেয়ে বিরক্ত লাগত যেই সমস্যাটা, বেশির ভাগ ছাত্র ছাত্রী কোন সমীকরণ থেকে পক্ষান্তর আর গুণ ভাগ করে অজানা রাশি ( যেমন x) আলাদা করতে পারত না!!! দেখিয়ে দেয়া অংক কিংবা বই এর উদাহরণ এর বাইরে কোন কিছুতে কোনভাবেই তারা কোন সূত্র প্রয়োগ করতে পারত না!!!

ফাইনালে আমি অনেক চেষ্টা করেছি যাতে তারা অন্তত পাশ করে। প্রশ্ন করেছি বৃত্তের ক্ষেত্রফল, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল আর সিলিন্ডারের আয়তন বের করার, দুই বিন্দুগামী সরল রেখার সমীকরণ বের করার। এমনকি রেডিয়ান থেকে ডিগ্রিতে রূপান্তর এর মত সহজ সমস্যাও দেয়া হয়েছিল। আমার ক্লাশে ছিল ৪২ জন, ফেল করেছিল ২৮ জন। আমাকে ডেকে নেয়া হল এর পরে, জিজ্ঞাসা করা হল আমি কেমনভাবে পড়ালাম যে এত ছাত্র ফেল করল? আমি শুধু বললাম যে এর চেয়ে সহজ প্রশ্ন কি করে করতে হয় আমার জানা নাই, আর এইসব না জেনে কি করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায় তাও আমার জানা নাই। শেষ পর্যন্ত আমার জয় হল, সেই ২৮ জনকে আমার পাশ করিয়ে দিতে হয়নি। তাদেরকে আবার প্রিম্যাথ নিতে বলা হল। কিন্তু আমাকে আর প্রিম্যাথ কোর্স পড়াতে হয়নি। আমার জন্য হয়ত ভাল হল, ছাত্রদের জন্য কেমন হল বলতে পারিনে। কিন্তু যেটা হল সেই ২৮ জনের বেশির ভাগ বনানীতে অবস্থিত অন্য (বেশ নামকরা) একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে  চলে গেল যেখানে তাদের প্রিম্যাথ কোর্স করে ইঞ্জিনিয়ার হতে হয় না।

দয়া করে ভাববেন না আমি ছাত্রছাত্রীদেরকে হেয় করছি। দোষটা একা তাদের নয় (আমি কিন্তু তাদের কোন দোষ নেই এটাও বলছি না, সত্যি কথা বলতে কি একই সিলেবাস আর এর থেকেও খারাপ স্কুলে পড়াশুনা করেও অনেক শিক্ষার্থী জীবনে অনেক সফল হয়, আমার বন্ধু বান্ধব এবং ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে এদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়), দোষ তাদের শিক্ষকদেরও রয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতা আছে, অভিভাবকদের ভুল আছে। কিন্তু তারপরেও এরা কেউ কিন্তু জিপিএ ৫ ধারী ছিল না। (জিপিএ ৫ পেলে তাকে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই নিয়ে নেয়া হত তখন, যদিও বলতে বাধ্য হই, এমনকি তখনকার জিপিএ ৫ পাওয়া সব ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না) এখন হয়ত জিপিএ ৫ ধারীদেরকেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে এবং তাতে তারা ফেল করবে। গল্পটা একই রয়ে গেছে, জিপিএ হয়ত বেড়েছে। কিন্তু এখন কেন আমাদের অবাক লাগছে যে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না ? ১০ বছর আগেও তো তারা এমনই ছিল। সরকারের হয়ত কোন কারণে মনে হয়েছে যে সবাইকে জিপিএ ৫ দিতে হবে, তাই জিপিএ ৫ এর সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিন্তু মূল শিক্ষার্থীদের শতকরা যত ভাগ আগেও এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারত না, এখনও তত ভাগই আছে।

একটা মজার (কিন্তু ভয়ঙ্কর অন্যায়ের) তথ্য দেই, বাসা বাড়িতে আমরা যেমন সাবলেট দেই, তেমনি গ্রামের অনেক সরকারি স্কুলে কিন্তু শিক্ষকতা পেশাকে সাবলেট দেয়া হয়। মানে আসল শিক্ষক বা শিক্ষিকা হয়ত সদরে (বা ঢাকায় থাকেন), তার হয়ে অলিখিতভাবে একজন পাঠদান করেন, বেতনের অর্ধেকটা তিনি পেয়ে যান। কি অবাক লাগছে? খোঁজ নিয়ে দেখুন আশে পাশেই পেয়ে যাবেন এমন কাউকে। ভেবে দেখুন তো যদি ডাক্তারি পেশায় ডাক্তাররা কোন হাতুড়ে ডাক্তার এর কাছে সাবলেট দিয়ে দিত তার চাকুরিটা। অথবা ইঞ্জিনিয়াররা যদি জ্বালানীহীন বিদ্যুৎ আবিস্কারকদের কাছে তাদের চাকুরিটা ভাড়া দিতে শুরু করে তাহলে কেমনটা হবে? শিক্ষাক্ষেত্রে কেন জানি এই অন্যায়টা সবাই মেনে নিচ্ছে। (স্কুলের অন্য শিক্ষকদের সম্মতি ছাড়া এই অন্যায় কিন্তু কিছুতেই সম্ভব নয়) আমার মূল বক্তব্য হল, এমন কোন বড় কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়নি শিক্ষাব্যবস্থায়। ১০ বছর আগেও যেই করুণ দশা ছিল এখনও খুব বড় পরিবর্তন হয়ে যায়নি। সমস্যার মূল কিন্তু জিপিএ ৫ বেড়ে যাওয়া নয়। সৃজনশীল প্রশ্নের চেয়ে আমাদের আগে দরকার সৃজনশীল শিক্ষক। শিক্ষাব্যবস্থায় আরো টাকা ঢালতে হবে, শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।  

স্কুল কলেজের শিক্ষকদের কথা ভাবেন কেউ? তাদের কাজটা তারা ঠিকমত (বা আরো ভালমত) করার জন্য কি কোন পুরস্কার পান? মাস শেষে তাদের বেতন যা, তা দিয়ে সংসার চলে তাদের? কতটা ভাল প্রার্থীদের আমরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেই? নিয়োগ দেয়ার পরে তাদেরকে কিভাবে প্রস্তুত করি তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য? টিচার্স ট্রেনিং কলেজের course material কেউ পড়ে দেখেছেন? সরকারি শিক্ষকেরা এই ট্রেনিং করে খুব হাস্যকর কিছু জিনিস শেখেন আর সেটা প্রয়োগ সম্ভব নয় বলে ট্রেনিং এর পর পর সব ভুলে যান। স্কুল এবং কলেজের শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতিতে উন্নয়ন করার জন্য দরকার হলে ভিডিও কনফারেন্স করে তাদের ট্রেনিং দিতে হবে। সেই ট্রেনিং তারা পাঠদানে প্রয়োগ করেন কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে। পাঠ্যপুস্তক লেখার জন্য আকর্ষণীয় প্রাইজমানির ভিত্তিতে লেখকদের লেখা আহবান করতে হবে, দরকার হলে শিক্ষা নিয়ে রিয়েলিটি শো জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন, যাতে ভাল পাঠ্যপুস্তক লেখক আর ভাল শিক্ষক তৈরি হতে পারে। রাতারাতি  কোন কিছু সম্ভব নয়, সরকারি ভাবে যেকোন কাজ খুবই ধীরে ধীরে হয়ে থাকে, কিন্তু শুরুটা তো করতে হবে? শিক্ষক তৈরিতে মন দিতে হবে সরকার কে।

উচ্চশিক্ষার অবস্থা দিন দিন খারাপ হবে যদি আমরা প্রাথমিক আর মাধ্যমিক শিক্ষাকে উন্নত করতে না পারি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড় বাড়ন্ত ঠেকানো দরকার। তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাবার মেয়াদ বার বার না বাড়িয়ে তাদের আব্দারগুলোকে শক্তভাবে উত্তর দিতে হবে। কোন কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সত্যি সত্যি ভাল পাঠদান শুরু করেছে, কিন্তু কয়েকটি অতিরিক্ত ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি নিয়ে কেবল সার্টিফিকেট বিক্রি করে অন্যদের অর্জনকে খাটো করছে। ইউজিসির দুর্বল অবস্থানের কারণে এরা পার পেয়ে যাচ্ছে।

আমি জানি না শিক্ষামন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা ফেসবুকের এই ভিডিওগুলো দেখেন কিনা কিংবা মন্তব্য গুলো পড়েন কিনা। এ নিয়ে তাদের চিন্তা ভাবনা কি তাও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। প্রশ্ন ফাঁস, অতিরিক্ত জিপিএ ৫ পাওয়া কিংবা ভুল ফলাফলের কারণে ছাত্র ছাত্রীদের আত্মহত্যা করার ঘটনা গুলো নিয়ে ফেসবুকের তুমুল আলোড়ন তাদের কিভাবে স্পর্শ করে তাও আমার জানা নাই।

শেষ করার আগে আমার স্ত্রী এর একটা Sarcastic মন্তব্য বলে যাই । এক ছাত্রী অপারেশন সার্চলাইট কি সেটার উত্তর দিয়েছে অপারেশন এর সময় যেই উজ্জ্বল আলোটা জ্বালানো হয় সেটা। আমার স্ত্রীর মতে এটা হল সৃজনশীল একটা উত্তর আর তা হয়েছে সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতিতে পড়ানোর কারণে! সেই ছাত্রী সৃজনশীলভাবে চিন্তা করে উত্তর দিয়েছে ইতিহাস না জেনেই। সুতরাং Innovative হবার আগে Fact জানা দরকার, শিক্ষাপদ্ধতিতে কতটা Fact জানার পরে সৃজনশীল চিন্তা করতে হবে তার যদি দিক নির্দেশনা না থাকে তাহলে তো শিক্ষার্থী Innovative চিন্তাটাই আগে করবে। আসলেই কি আমরা পাঠ্যপুস্তকে কিংবা শিক্ষাপদ্ধতিতে Fact আর Innovative Thinking এর সীমারেখা টানতে পেরেছি? না পারলে মনগড়া উত্তর কিন্তু আমাদের আরো শুনতে হবে সামনে। তখন Fact আর opinion এর মাঝে পার্থক্য থাকবে না। দিবালোকের মত ধ্রুব সত্যকে মানুষ সন্দেহ করতে থাকবে opinion ভেবে, আর সার্বজনীনভাবে প্রমাণিত ভ্রান্ত ধারণাকেও শ্রদ্ধাস্পদ কোন ব্যাক্তির opinion ভেবে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করবে। এভাবে চলতে থাকলে সামাজিক ভেদাভেদটা বেড়ে যাবে সামনে, আর আমাদের সত্যিকারের অবাক হবার পালাটা আসলে তখন আসবে।

লেখক :  পাওয়ার ইলেক্ট্রনিক্স এনালাইসিস স্পেশিয়ালিস্ট  হাইব্রিড এন্ড ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল, জেনারেল মটরস, মিশিগান

এইচআর/এমএস

আরও পড়ুন