চলছে স্যালাইন
তারেকের অনশনের ৬৯ ঘণ্টা, তবুও টনক নড়ছে না ইসির
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘আমজনতার দল’ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন না পাওয়ায় দলটির সদস্যসচিব তারেক রহমান কমিশনের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন। টানা ৬৯ ঘণ্টার অনশনে পার হয়েছে। টানা অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। এরইমধ্যে চারটি স্যালাইন তার শরীরে পুশ করা হয়েছে। এরপরেও টনক নড়ছে না ইসির।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে ইসির সামনে দেখা যায়, ৬৯ ঘণ্টা অনশনের কার্ড হাতে নিয়ে ইসির গেটের সামনে বসে রয়েছেন তারেক রহমান। টানা তিনদিন তারেক একই পোশাকে রয়েছেন।
অনশন চলাকালীন অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছেন এবং খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। কোনো কিছু প্রয়োজন কি না তাও জানতে চাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন
তারেকের আমজনতার দলের অবশ্যই নিবন্ধন প্রাপ্য: রিজভী
মসজিদে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ চায় আমজনতার দল
মশার কামড় খেয়ে ইসির ফটকে রাত কাটালেন তারেক
কালো টি-শার্ট পরা ইসির একজন ব্যক্তি এসে আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানের খোঁজ নেন। তিনি এ সময় আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দেন।
আরেকজন ব্যক্তি এসে জানান, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। গতকাল রাতে দেশে এসেছেন। অনশনের খবর শুনে তিনি আজ ছুটে এসেছেন তারেককে দেখতে। এ সময় তারেকের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।
আমৃত্যু অনশনে থাকা তারেক রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ৬৯ ঘণ্টা এক ফোটা পানিও খাইনি। এতো সময় ধরে ভাত, পানি না খেলে অসুস্থ হওয়াটাই স্বাভাবিক। চারটি স্যালাইন শরীরে পুশ করা হয়েছে। দেখি কতক্ষণ থাকতে পারি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক এ দেশের স্বার্থে কথা বলেছেন, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কথা বলেছেন। একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে তার বৈধতার জন্য। নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল। সে তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি, আইন সম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকতো, তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করতো। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ তারেক করেনি।
মঙ্গলবার অনশন শুরুর পর নির্বাচন ভবনের সামনে আরও কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছে। বুধবার গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনও সংহতি প্রকাশ করেন এবং নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
টিটি/এসএনআর/জিকেএস