সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে ইসিকে ইসলামী আন্দোলনের ১২ প্রস্তাবনা
সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে ১২টি মৌলিক প্রস্তাবনা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দলটি।
প্রস্তাবগুলো হলো-
১. সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনি কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল এবং দলনিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য কঠোর নির্দেশনাদিতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. তফসিল ঘোষণার আগেই সারাদেশে কার্যকারীভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৩.নির্বাচনে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, প্রচার উপকরণ ছিড়ে ফেলা বা নষ্ট করা ইত্যাদির অভিযোগ পেলে অনধিক ১২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিলের আইন করতে হবে।
৪. প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৫. জামিনে বেরিয়ে আসা চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নির্বাচনের দিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিতে হবে।
৬. সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশের গৌরব সেনাবাহিনীকে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, বরং প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনা সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
৮. ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা অর্থ প্রদানের অভিযোগ পেলে অনধিক ৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিলের আইন করতে হবে।
৯. কোনো কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ গ্রহণে গড়িমসি করা, অভিযোগ গ্রহণ না করা কিংবা ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে অবহেলার প্রমাণ মিললে কর্তব্যরত সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির বিধান রাখা এবং প্রয়োজনে ভোট স্থগিত বা বাতিলের বিধান রাখতে হবে।
১০.শতভাগ জনমতের মূল্যায়নের মাধ্যমে একটি কার্যকর সংসদ গঠনের লক্ষ্যে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
১১.ফ্যাসিস্ট, খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও আধিপত্যবাদী শক্তির এজেন্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও সহযোগী দলকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা এবং তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
১২. দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ ও খুনিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
আরএএস/এমআইএইচএস/জিকেএস