ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সমাবেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, জনবিরোধী বন্দর চুক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা একই সূত্রে গাঁথা। যদি তা না-ই হবে ‘বিজয় দিবস’ ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বীরাঙ্গনাদের অস্বীকারকারীদের কেন দেশে এনে বিচারের আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ এই সরকার নিচ্ছে না। যারা বন্দর চুক্তিকে বাস্তবায়ন করেছে, তারা আমাদের দেশের স্বার্থ নয়; বিদেশি স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তাদের ইন্ধনেই রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে মুক্তিযুদ্ধ-দেশ এবং সার্বভৌমত্ব অবমননার বাম্পার ফলন চলছে।

১২ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বন্দর চুক্তি বাতিল ও দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মোমিন মেহেদী বলেন, গত ১৬ বছরের মতো এখনো মানবাধিকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের হ্যাঙ্গারে ঝোলানো। মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত ভাসমান-নদী ভাঙনের শিকার ৩৭ লাখ মানুষের পাশাপাশি সারাদেশে সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশ। সেই সাথে একাত্তরের মানবতা লঙ্ঘনকারীদের বিচার করতে না পারার ব্যর্থতায় আজ জাতি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হতে হচ্ছে। কখনো এই পক্ষ, কখনো ওই পক্ষ ক্ষমতায় আসলে দুই পক্ষই মানবাধিকার লঙ্ঘনের রাস্তাটাকে প্রশস্ত করেছে। সেই সাথে যোগ হয়েছে লাগামহীন দুর্নীতি।

দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে সমাবেশ

এ সময় বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার গাজী মনসুর, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, ওয়াজেদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন বৈরাগী, আফতাব মন্ডল, মো. ইউনুস, শেখ সালমান, মো. সম্রাট।

মোমিন মেহেদী আরও বলেন, নির্মম হলেও সত্য অতীতের সরকারের চেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষতি করবার অপচেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে আছে। তারা দেশি স্বার্থকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দক্ষ জনবল তৈরি না করে বন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার নামে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দিচ্ছে।

এসইউজে/এমআরএম/এএসএম