ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

রোজা রাখলে কী পাবেন?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২২

হাদিস শরিফে রোজাদারের জন্য বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার ও প্রতিদানের কথা বিবৃত হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটি নিয়ে লিখেছেন মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

রোজা কেয়ামতের দিবসে সুপারিশ করবে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, ‘হে আল্লাহ!আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে পূর্ণ বিরত রেখেছি। কাজেই তাকে ক্ষমা করে দিন এবং পুরস্কৃত করুন। আর তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ আর কোরআন বলবে, ‘আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। কাজেই তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন।’ অতঃপর তাদের সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। (মুসনাদে আহমদ : ৬৫৮৯)।

রোজা জাহান্নামের আগুনের ঢাল ও দুর্গ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রোজা জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণের জন্য একটি ঢাল এবং দুর্গ।’ (মুসনাদে আহমদ : ৮৯৭২)।

রোজাদার জান্নাতের রাইয়ান নামক শাহী তোরণ দিয়ে প্রবেশ করবে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি শাহী তোরণ আছে, যা দিয়ে একমাত্র রোজাদারগণই প্রবেশ করবে। অন্য কেউ সে তোরণ দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (আর যে ব্যক্তি সে রাইয়ান গেট দিয়ে প্রবেশ করবে, সে আর কখনও পিপাসিত হবে না)। (সহিহ বোখারি : ১/২৫৪)।

রোজাদারের জীবনের সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাসসহ সওয়বের উদ্দেশ্যে রমজানের রোজা রাখে, আল্লাহ তার জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০১)।

রোজাদারের দোয়া কবুল হয়
হাদিস শরিফে এসেছে, তিন ব্যক্তির দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না—রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দোয়া, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া ও মজলুমের দোয়া। এ তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহতায়ালা মেঘমালার ওপর তুলে নেন। এর জন্য আসমানের দরোজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। তখন আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার ইজ্জত ও মহাসম্মানের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৩৪২৮)।

রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রোজাদার ব্যক্তির আনন্দ উপভোগের দুটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে—একটি ইফতারের সময়, অপরটি স্বীয় রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০৪, সহিহ মুসলিম : ১১৫১/১৬৪)।

রোজাদারের মুখের গন্ধ মিশকের চেয়েও সুঘ্রাণযুক্ত
রোজার কারণে মুখে যে দুর্গন্ধ হয়, আল্লাহতায়ালা তারও মূল্যায়ন করেছেন কল্পনাতীতভাবে। অনাহারের কারণে সৃষ্ট দুর্গন্ধ তাঁর কাছে মিশকের চেয়েও অধিক সুঘ্রাণ বলে জানিয়েছেন। আর ধন্য করেছেন তাঁর প্রেমে মত্ত রোজাদারদের। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয়ই রোজাদারের মুখের (পানাহার বর্জনজনিত) গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধি অপেক্ষা উত্তম।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০৪)।

উল্লেখ্য, বর্ণিত হাদিসে দুর্গন্ধ দ্বারা ওই গন্ধকেই বোঝানো হয়েছে, যা পানাহার বর্জনের কারণে পেটের ভেতর থেকে উত্থিত হয়। দাঁত ও মুখ অপরিষ্কার রাখার কারণে যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়, তা এখানে উদ্দেশ্য নয়। তাই রোজাদার ব্যক্তি অবশ্যই তার দাঁত ও মুখ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকবে।

মুনশি/এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন