খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহী নিয়ে মানবিক আহ্বান
খাঁচা থেকে বের হওয়া সিংহীটিকে খাঁচায় ফেরানো হয়, ছবি: জাগো নিউজ
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানার খাঁচা থেকে একটি সিংহী বের হয়ে যায়। ৫ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় চিড়িয়াখানার লায়ন মাঠ এলাকার একটি খাঁচা থেকে সিংহীটি বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ট্রানকুলাইজার গান দিয়ে ইনজেকশন পুশ করে সিংহীটিকে অচেতন করে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় আবার খাঁচায় নেওয়া হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা সিংহীর ছবি পোস্ট করে নানারকম মন্তব্য করতে থাকেন। তবে বেশি মন্তব্য করা হয়েছে সিংহীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে। পশুর যত্নে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে আরও মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
আতিক ভাই নামে একটি পেজে লেখা হয়েছে, ‘মিরপুর চিড়িয়াখানা থেকে সিংহ পালানোর খবরে প্রথমে খুব মজা পাচ্ছিলাম। অনেকে ট্রল করছিল, ফান করছিল, পালানোর নানা রকম কারণ দেখাচ্ছিল; সেসবও এনজয় করছিলাম। এরপর সামনে আসলো সেই সিংহের খাঁচায় ফেরত যাওয়ার পরের ছবি। এখন নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। সারাদিন আমরা মানবতার কথা বলি আর এই হচ্ছে আমাদের মানবতা।’
তিনি লিখেছেন, ‘বিনোদনের জন্য খাঁচায় রাখছেন রাখেন, আমি বললেও চিড়িয়াখানা কখনো বন্ধ হবে না, বাট যাদের দেখায়া সংসার চালাচ্ছেন, নিজের রুজি-রুটির ব্যবস্থা করছেন, অন্তত তাদের হকটা তাদের দিয়েন। একটু ভালো অবস্থায় যেন থাকতে পারে, এটুকু মানবতা অ্যাটলিস্ট দেখাইয়েন। ওদের ভাগটাও নিজেরা মেরে খাইয়েন না।’
আরও পড়ুন
দুই হাতহীন শিশুর দায়িত্ব নিলেন মিরাজ আফ্রিদি
মুন্সী এনায়েতের হাত ধরে ভাগ্যবদল জন্মান্ধ গফুর মল্লিকের
তরুণ রাসেল লিখেছেন, ‘ঢাকা চিড়িয়াখানায় গতকাল সন্ধ্যায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়া সিংহ ‘ডেইজি’। মানুষের হিংস্রতার কাছে হার মেনে নিজের খাঁচা ছেড়ে দিলো মানুষের তরে। হায় মানুষরূপী হিংস্র পশু, তোরা এ ত্যাগ বুঝলি না রে...’
মাহজেরিন হাসান অর্পা লিখেছেন, ‘সিংহকে পাওয়া গেছে কিন্তু ওর ছবি দেখে খুবই খারাপ লাগতাসে। আই উইশ ও কোনো ভাবে জঙ্গলে পালাইয়া চইলা যাইতে পারতো! আবারও মুক্ত বাতাসে থাকতো। খাঁচাবন্দি জীবন কার ভাল্লাগে? ওর শরীরের দিকে তাকাইলেও খারাপ লাগতাসে। চিড়িয়াখানায় এইসব অ্যানিমেল ক্রুয়েলটি কবে বন্ধ হবে?’
পারশা লিখেছেন, ‘একটা রাজকীয় সুন্দর প্রাণী কতখানি অবহেলায় অনাহারে অযত্নে থাকলে এমন দেখতে লাগে তাকে? এই যুগে এসেও কি চিড়িয়াখানা খুব প্রয়োজন আমাদের? কেন আমরা এটা নিয়ে কথা বলি না?’
আরশ খান লিখেছেন, ‘খাঁচায় বন্দি জীব প্রদর্শনী বন্ধ হোক। হয় সাফারি পার্কের ব্যবস্থা করেন; যেখানে পশু-পাখি উন্মুক্ত থাকবে। মানুষ খাঁচায় করে দেখতে যাবে। নয়তো দরকার নেই। আমার বাচ্চাদের আমি অ্যানিমেল প্ল্যানেট দেখায় পশু-পাখি চিনিয়ে নেবো। চিড়িয়াখানা বন্ধ হোক, পশু-পাখিদের বন্দি প্রদর্শনী বন্ধ হোক।’
এসইউ