ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিপিএল নিলামে কয়েকজন ক্রিকেটারকে না রাখার যে ব্যাখ্যা দিল বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:০৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

বিপিএল নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এনামুল হক বিজয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শফিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে। কেউ বলছেন সংখ্যাটা ৭ জন, আবার কেউ বলছেন ৯ জন। এ নিয়ে তুলকালাম আজ ক্রিকেটাঙ্গনে। যদিও তালিকা থেকে কাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকা এখনো বিসিবি থেকে প্রকাশ করা হয়নি।

তবুও মিডিয়ায় আসা রিপোর্টের কারণে এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নির্ধারিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেখানে তারা স্বীকার করেছে, বিপিএলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিলাম তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। বিসিবি কর্তৃক নবগঠিত ইনটিগ্রিটি কমিটির চেয়ারম্যান অ্যালেক্স মার্শালের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিসিবি থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিপিএল–১২ এর নিলামকে সামনে রেখে স্থানীয় খেলোয়াড় তালিকায় বেশ কয়েকজনের নাম না থাকার বিষয়টি নিয়ে তৈরি হওয়া প্রশ্নের জবাবে স্পষ্টীকরণ দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির হাতে জমা দেওয়া হয়েছে স্বাধীন অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন। এরপর থেকে সম্ভাব্য দুর্নীতিসংক্রান্ত সব বিষয়াধি বিসিবির নবগঠিত ইনটিগ্রিটি ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইউনিটটির দায়িত্বে আছেন স্বাধীন চেয়ারম্যান অ্যালেক্স মার্শাল।

এই ইউনিট সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং যে কোনো সংবেদনশীল বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ বিসিবি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। বিপিএল–১২ আয়োজনের প্রস্তুতিকালে ইনটিগ্রিটি ইউনিটের স্বাধীন চেয়ারম্যানের পরামর্শ অনুযায়ী লিগের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে পরামর্শের ভিত্তিতেই কয়েকজনকে- যার মধ্যে কিছু খেলোয়াড়ও রয়েছেন— এবারের বিপিএলে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

গভর্নিং কাউন্সিল জানায়, এটি শুধু বিপিএলকে কেন্দ্র করে নেওয়া একটি ব্যবস্থা, যা তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও টুর্নামেন্টের সততা রক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিসিবির আয়োজিত অন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

ব্যক্তিগত কোনো খেলোয়াড় সম্পর্কে মন্তব্য না করার বিষয়টিও বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে। কারণ, ইনটিগ্রিটি ইউনিট এখনো কিছু বিষয়ে পর্যালোচনা বা তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা একটি পরিচ্ছন্ন ও সৎ টুর্নামেন্ট দেখতে চায়। খেলার স্বচ্ছতা রক্ষায় বিসিবি সব যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নিতে থাকবে।’

আইএইচএস/