ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

অ্যাশেজ শেষ কামিন্সের, সংশয়ে টি-২০ বিশ্বকাপও

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

চলতি অ্যাশেজ সিরিজ থেকে ছিটকে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। একই সঙ্গে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অংশগ্রহণ নিয়েও তৈরি হয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। নির্বাচক ও মেডিকেল টিম কামিন্সের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে আর কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।

মঙ্গলবার সকালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) বক্সিং ডে টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াড ঘোষণার সময়ই নিশ্চিত করা হয়, কামিন্স এই ম্যাচে খেলবেন না। অ্যাডিলেড টেস্টের পর নিজেই বিষয়টি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। পরে প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানান, ‘একটি টেস্ট খেলেই কামিন্সের অ্যাশেজ শেষ, যা শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ ধরে রাখার মিশনে বড় ভূমিকা রেখেছে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর কামিন্সের লম্বার স্ট্রেস রিঅ্যাকশন ধরা পড়ে। দীর্ঘ ও আক্রমণাত্মক পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পর তিনি অ্যাডিলেড টেস্টে দলে ফেরেন এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৮২ রানের জয় এনে দেন।

কোচ ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘সে পুরোপুরি ঠিক আছে। তবে সে সিরিজের বাকি অংশে আর কোনো ভূমিকা রাখবে না- এটা আমরা অনেক আগেই তার ফেরার সময় ঠিক করে রেখেছিলাম। আমরা কিছুটা ঝুঁকি নিয়েছিলাম এবং সেটার ফল পাওয়া গেছে। সিরিজ জয়ই ছিল লক্ষ্য। এখন তাকে আবার ঝুঁকিতে ফেলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করতে চাই না, আর প্যাটও এতে পুরোপুরি স্বস্তিতে আছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘রিহ্যাবের সময় যদি সামান্যতম কোনো সমস্যা দেখা দিত, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার খেলা বন্ধ করে দিতাম। সবকিছু খুব মসৃণভাবে হয়েছে। মেডিকেল টিম ও কামিন্সের কৃতিত্বেই এটা সম্ভব হয়েছে। এত ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে ফিরে এসে ছয় উইকেট নিয়ে অ্যাশেজ নিশ্চিত করা— এটা সবার জন্যই দারুণ তৃপ্তির।’

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ধোঁয়াশা

কামিন্সের ফিটনেস পরিস্থিতি নিয়ে এখন আলোচনা হবে আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড নির্বাচনেও। শিগগিরই দল ঘোষণার কথা রয়েছে। তবে মেডিকেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান কোচ ম্যাকডোনাল্ড।

‘তার পিঠের অবস্থা জানতে আবার স্ক্যান করানো হতে পারে। বিশ্বকাপে সে খেলবে কি না—এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা কঠিন। বিষয়টা এখনও ধূসর। আমরা আশাবাদী, কিন্তু নিশ্চিত নই।’

উল্লেখ্য, কামিন্স সর্বশেষ ২০২৪ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ক্যারিবিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রে) খেলেছিলেন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই শুরু হবে আইপিএল ২০২৬, যেখানে তিনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়কত্ব করার কথা রয়েছে।

চোট সমস্যা অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণকে বেশ চাপে ফেলেছে। জশ হ্যাজলউড পুরো অ্যাশেজ থেকেই ছিটকে গেছেন। আর শেন অ্যাবট প্রথম টেস্টের আগেই বাদ পড়েন। এই অবস্থায় প্রথম দুই টেস্টে পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।

কোচ ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘স্টার্ক অবিশ্বাস্য। আমি জানি না সে কিভাবে এটা করে। ফিজিও রুমে ঢুকে শুনলাম— সে একেবারে ‘ফ্রিক’। যে গতিতে সে দৌড়ে এসে বল করে যাচ্ছে, সেটা অবাক করার মতো। সে আইপিএলের অনেক সুযোগ ছেড়েছে শুধু টেস্ট খেলতে চাওয়ার জন্য। এখনো সে নিজের সেরাটাই দিচ্ছে— এটা এক অসাধারণ গল্প।’

অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টের জন্য পেস আক্রমণে যুক্ত করেছে ঝাই রিচার্ডসনকে, যিনি কাঁধের অস্ত্রোপচার থেকে সেরে উঠেছেন। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১–২২ সালের অ্যাশেজে।

সব মিলিয়ে, অ্যাশেজ ধরে রাখার পরও অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ— কামিন্সকে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ রেখে কিভাবে বিশ্বকাপ ও ভবিষ্যৎ সূচি সামলানো যায়, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

আইএইচএস/