ডিইউজে সদস্যদের জন্য চালু হলো অ্যাম্বুলেন্স সেবা
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজ) উদ্যোগে সংগঠনের সদস্য ও পরিবারের জন্য সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সহায়তায় ঢাকা শহরের যে কোনো স্থান থেকে এই সার্ভিস দেয়া হবে।
শনিবার (২৭ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়। এ উপলক্ষে ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক আলম খান তপুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক বাদল মাদবর।
বিএফইউজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকারিয়া কাজল, ডিইউজের দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস সোহেল ও নির্বাহী সদস্য রাজু হামিদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাম্বুলেন্স সেবার জন্য আগ্রহী সদস্যদের নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'করোনাভাইরাস মহামারিতে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ, বিশেষ করে যেসব দেশ স্বাস্থ্যসেবায় গোটা বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়, তাদেরও অসহায়ত্ব প্রকাশ করতে দেখা গেছে। অথচ, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকার সাহসিকতার সাথে এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চলেছে।'
গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাঁটাই বন্ধ করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পরে শেখ হাসিনা ছাড়া গণমাধ্যমবান্ধব আর কোনও নেতা আছেন বলে আমার মনে হয় না। শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে সাংবাদিকদের কথা চিন্তা করে তাদের প্রণোদনার আওতায় নিয়ে এসেছেন।
প্রতিমন্ত্রী করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সমস্যার প্রতি ইঙ্গিত করে আরও বলেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য, গণমাধ্যম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত বিত্তবানেরা বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকা অনুদান বিতরণ করলেও, তারা নিজেদের গণমাধ্যমে কর্মীদের ছাঁটাই করছেন, যা দুঃখজনক।'
তিনি এ শিল্পের সংকট নিরসনে সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে মালিকদের আলাপ আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'আমি মনে করি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য গণমাধ্যম একটি স্তম্ভ। এটাকে দুর্বল করে বাংলাদেশে কখনও উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হতে পারে না, এগিয়ে যেতে পারে না। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রগতি গণমাধ্যম তুলে ধরেছে বলেই পৃথিবীজুড়ে বাংলাদেশের প্রশংসা হচ্ছে।'
এমইউ/জেডএ/এমকেএইচ