পুষ্টি সুশাসন নিশ্চিতে গণমাধ্যমের সক্রিয়তা বাড়ানোর তাগিদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২২

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পুষ্টি সুশাসন নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও পুষ্টিবিদসহ বিশিষ্টজনেরা। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীতে পুষ্টি সুশাসন বিষয়ে গণমাধ্যম সংলাপে তারা বলেছেন, এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা পালন করা জরুরি।

গণমাধ্যম উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি’র এ আয়োজনে গণমাধ্যমের নীতিনির্ধারণী ও সম্পাদকীয় পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন ব্যক্তিত্বরা সংলাপে যোগ দেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের নেতৃত্বে বাস্তবায়নাধীন ‘কালেক্টিভ রেসপন্সিবিলিটি, অ্যাকশন অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিবিলিটি ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন’ প্রকল্পের আওতায় সমষ্টি এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ (বিএনএনসি) কৌশলগত সহযোগিতা দেয়।

সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনএনসির মহাপরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবীর। সভাপ্রধান ছিলেন সাংবাদিক ও টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল। বক্তারা গণমাধ্যম সংবাদপ্রবাহে পুষ্টি সুশাসন বিষয়ক সংবাদের ওপর জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং এক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান অতিথি বলেন, পুষ্টি সুশাসন মূলত সামগ্রিক পুষ্টিব্যবস্থার নীতি ও কৌশলগত দিকের সঙ্গে যুক্ত। এগুলোর আলোকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। এসব কর্মসূচির সুফল মানুষের কাছে কতটা পৌঁছাচ্ছে তা নিয়ে গণমাধ্যমের নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুষ্টিবিষয়ক ধারণাগুলোর প্রসারেও গণমাধ্যম অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।

মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, গণমাধ্যমে পুষ্টি সুশাসনের মতো জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে আরও অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। এসব বিষয়ে বিশেষায়িত সাংবাদিক তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে গণাধ্যমকে সনাতন কাঠামো থেকে বেরিয়ে নতুন নতুন বিষয়ে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের ইমরানুল হক বলেন, ‘এমডিজিতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখন মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের প্রতিটি ইন্ডিকেটরে ভেরি এনকারেজিং যে আমরা এগোচ্ছি। পুষ্টি ক্ষেত্রে যে একটা জায়গায় আমরা দাঁড়িয়েছি। সেখান থেকে ওভারকাম করা এবং এখন বৈশ্বিক খাদ্য সংকট, কোভিড গেল সবকিছু যদি একসাথে করে ফেলেন তাহলে দেখব যে সামনের দিনগুলোতে একটা ইন্ডিকেশন আছে যে, পুষ্টি পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার একটা টেনডেন্সি হয়তো হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘পুষ্টিটাকে স্বাস্থ্যের সাথে মিলিয়ে এটার সমাধান করা যাবে না। এটায় মল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ লাগবে। এটা তখনই সফল হবে যখন এটায় সুশাসন থাকবে।’

সমষ্টি’র পরিচালক মীর মাসরুর জামানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন ইন্ডিপেডেন্ট টিভির মিল্লাত হোসেন, আরটিভির শাহ মো. মুস্তাফিজুল আলম, দেশ রূপান্তরের শাহ আলম, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জাহিদুল ইসলাম, প্রতিদিনের বাংলাদেশের ইমতিয়ার শামীম, ডিবিসি নিউজের নাইম তারেক, মানবজমিনের কাজল ঘোষ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমিন রিনভী, এশিয়ান টিভির মানস ঘোষ, চ্যানেল আইয়ের জাহিদ নেওয়াজ খান, প্রথম আলোর পার্থ শংকর সাহা, এটিএন বাংলার নাদিরা কিরণ ও প্রভাষ আমিন, দেশ টিভির বোরহানুল হক সম্রাট, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের মীর মোস্তাফিজুর রহমান, এনটিভির জহিরুল আলম, ইত্তেফাকের মাইনুল ইসলামসহ অন্যরা। এছাড়া পুষ্টি সুশাসনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তব্য দেন বিএনএনসির উপ-পরিচালক আকতার ইমাম।

আরএমএম/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।