‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও পারদর্শী ছিলেন সাংবাদিক মূসা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘সাংবাদিক এবিএম মূসা শুধু গণতান্ত্রিক মনমানসিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন, তা নয়। তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও পারদর্শী ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। পাকিস্তান আমলে সাংবাদিকদের জন্য অসংখ্য বেড়াজাল তৈরি করা হয়েছিল। একটু এদিক-ওদিক হলেই জেল-জুলুম নেমে আসতো। কিন্তু এসব বেড়াজালের ফাঁকফোকর দিয়েও এবিএম মূসা সত্য কথা বলতেন।’

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার ৯৩তম ও নারী সাংবাদিকতার অগ্রদূত সেতারা মূসার ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার পরিবারের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সাংবাদিক এবিএম মূসা রাজনীতিতেও এসেছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। পরে তিনি আবার সাংবাদিকতায় ফিরে আসেন। পাকিস্তান আমলে সাংবাদিকদের জন্য অসংখ্য বেড়াজাল তৈরি করা হয়েছিল। একটু এদিক-ওদিক হলেই জেল-জুলুম নেমে আসতো। কিন্তু এসব বেড়াজালের ফাঁকফোকর দিয়েও এবিএম মূসা সত্য কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক কাবেরী গায়েন দেশের গণমাধ্যম ও বিজ্ঞাপনে নারীবিষয়ক উপস্থাপন এবং গণমাধ্যমগুলোতে নারীদের উপস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম বলেন, আমরা সংবাদটাকে একটা পণ্যে পরিণত করেছি। সংবাদে একটা পণ্যের বিজ্ঞাপন যত বেশি সুন্দর করে তুলে ধরা হয়, তত বেশি পণ্য বিক্রি হয়। সংবাদপত্রের মালিকানায়ও পরিবর্তন প্রয়োজন। মালিকরা অন্য পণ্যের মতো সংবাদপত্রকেও বিবেচনা করেন। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম রহমান বলেন, সাংবাদিক এবিএম মূসা যেসব কলাম লিখতেন, তা ছিল অসাধারণ। তার লেখা থেকেই আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সভা সেমিনারের বিষয়বস্তু খুঁজে পেতাম। তিনি শুধু গণতান্ত্রিক মনমানসিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন, তা নয়। তিনি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণেও পারদর্শী ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের এবিএম মূসা ও সেতারা মূসার পরিবারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর খালি গলায় নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মৃদুলা সমাদ্দার।

ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবিএম মূসা এবং সেতারা মূসার কন্যা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন মূসা। এবিএম মূসা ও সেতারা মূসার জীবনী তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সৌমিক আহমেদ অনিক ও সানজিদা ইসলাম।

আজীবন সম্মাননা দিতে গিয়ে এম এ মালেককে উত্তরীয় পরিয়ে দেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও এবিএম মূসার বড় মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমা। সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও মেজ মেয়ে পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা। বই তুলে দেন অধ্যাপক শারমিন মূসা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীম রেজা, নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী, সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক কুররাতুল-আইন-তাহ্মিনা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, দৈনিক বাংলার চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ ডেইজি মওদুদ প্রমুখ।

এনএস/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।