ভুল তথ্য শনাক্তে পাঠ্যক্রমে ফ্যাক্টচেকিং যুক্ত করার পরামর্শ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২৪
সিজিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মার্কিন দূতাবাসের জনসংযোগ কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি

ভুল তথ্য শনাক্তে ও এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যক্রমে ফ্যাক্টচেকিং যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের জনসংযোগ কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি।

তিনি বলেন, ভুয়া তথ্যের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় পাঠ্যক্রমের সঙ্গে এ বিষয়টি সংযুক্ত করা যেতে পারে, যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং নরওয়েতে করা হচ্ছে। যাতে করে পরের প্রজন্মকে ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে শিক্ষিত করা যায়। ফেক নিউজ আর ভুয়া তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। যত দিন যাচ্ছে প্রযুক্তির প্রভাব বাড়ছে, সাংবাদিকদের কাজ আরও কঠিন হচ্ছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘দ্য ওয়ার এগেইনস্ট মিস ইনফরমেশন কন্টিনিউস’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। ভুল তথ্যের প্রক্রিয়া এবং ভুল তথ্য মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে গত এক বছরে সারা দেশে ১৪টি সংলাপ ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেছে সিজিএস।

এ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিজিএস নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ভুয়া তথ্য নিয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেও হয়তো নতুন কোনো ভুয়া তথ্যের প্রচার হবে। প্রকল্প বিষয়ে তিনি বলেন, সিজিএস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অ্যালামনাই এনগেজমেন্ট ইনোভেশন ফান্ডের অর্থায়নে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত ফ্যাক্টচেকিং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করে এবং পাঁচ বড় শহরে কর্মশালা পরিচালনা করে। প্রকল্পটি ভুল তথ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষামূলক ভিডিও বক্তৃতা এবং টিভি টকশোও করেছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের জনসংযোগ কাউন্সেলর স্টিফেন ইবেলি বলেন, ভুল তথ্য ভয়াবহ, এর কারণে সহিংসতা বাড়ে। নিউজ প্রকাশের আগে তথ্য বার বার চেক করতে হবে। তথ্যের সোর্স যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়। ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে। সাংবাদিকতা সহজ নয়, আপনাদের কাজ আমরা সম্মান করি।

সিজিএসকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নিউ মিডিয়ার যুগে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভুয়া তথ্য শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। ফেক নিউজ আর ভুয়া তথ্যের প্রচার নিউ মিডিয়া প্রসারের সঙ্গে বাড়তেই থাকবে, কমবে না। সে ব্যাপারে হেলথ-চেকআপের মতো ফ্যাক্টচেকিংয়ের কাজ ক্রমাগতভাবে করে যেতে হবে।

দেশে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা সংবাদ ও গুজব প্রতিরোধে সিজিএসের ধারাবাহিক কার্যক্রমের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। অনুষ্ঠানে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন।

সিজিএস হলো বাংলাদেশের একটি থিংক ট্যাংক, যা সুশাসন, দুর্নীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা ও গণমাধ্যম গবেষণা পরিচালনা করে।

এমওএস/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।