ঢাকার পাশেই হবে বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর


প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ঢাকার আশপাশে সর্বাধুনিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর’ শীর্ষক নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। সোমবার সংসদে জাতীয় পার্টির বেগম সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা বিশ্বে বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পের স্থান নির্বাচন ও গৃহীত কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এডিপি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেবিচ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নের আওতায় প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্য সমীক্ষা ও প্রকল্প এলাকা নির্ধারণের লক্ষ্যে টিপিপি প্রণয়ন করেছে।

মেনন বলেন, টিপিপি অনুমোদনের পর পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে মূল প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাল নির্ধারণ করা হবে। পরামর্শকের পক্ষ থেকে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী উপযোগী হবে সেটি চূড়ান্ত স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে।

বিমান মন্ত্রী সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে লোকসানের বৃত্ত থেকে বের করে এর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিমানের অতি পুরাতন এফ-২৮ ও ডিসি ১০-৩০ উড়োজাহাজ ফেইজ-আউট করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ সংগ্রহের মাধ্যমে বিমান বহর আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। এর ফলে জ্বালানি, উড়োজাহাজ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বিমান বহর সম্প্রসারণের মাধ্যমে লাভজনক করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের মার্চ ও মে মাসে ২টি ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ দীর্ঘ মেয়াদী লীজে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে পরিচালনার জন্য বর্তমানে ২টি ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ সংগ্রহের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বিমান বহর আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বোয়িং কোম্পানির সাথে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় আরো ২টি নতুন ৭৩৭-৮০০ ও ৪টি ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ যথাক্রমে ২০১৫ এবং ২০১৯-২০ সালে সংগ্রহ করা হবে।

তিনি বলেন, বিমানের রুট পুনর্বিন্যাসসহ লাভজনক গন্তব্য তথা জেদ্দা, রিয়াদ, কুয়ালালামপুর ইত্যাদি গন্তব্যে সাপ্তাহিক ফ্রিকুয়েন্সি বৃদ্ধির প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা বিবেচনায় নিকট ভবিষ্যতে কতিপয় নতুন গন্তব্য যথা গোয়াংজু, কলম্বো, মালে, টোকিওতে বিমান সার্ভিস সম্প্রসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।