বিদেশফেরত নাগরিকদের সরাসরি আইইডিসিআরে না আসার অনুরোধ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২০

সম্প্রতি যারা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছেন, তাদের করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সেবার জন্য সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না আসতে ফের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি এক্ষেত্রে হটলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধও জানিয়েছেন সেবাপ্রত্যাশীদের প্রতি।

রোববার (১৫ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।

ডা. ফ্লোরা বলেন, বারবার নিষেধ করার পরও বিদেশফেরত অনেকেই সরাসরি আইইডিসিআরে চলে আসছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জন সরাসরি সেবা ও তথ্য জানতে আইইডিসিআরে চলে আসেন। তাদের দেহে যদি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকে, তবে এক্ষেত্রে তাদের বাড়ি থেকে আইইডিসিআর আসা পর্যন্ত পথে অসংখ্য মানুষ সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই সরাসরি না এসে হটলাইনে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তারা সরাসরি আইইডিসিআরে আসা বন্ধ না করলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সেবা প্রদানে বাধ্য হতে হবে আমাদের।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে (01401184551, 01401184554, 01401184555, 01401184556, 01401184559, 01401184560, 01401184563, 01401184568, 01927711784, 01927711785, 01937000011, 01937110011) ৩ হাজার ৭০৬টি কল এসেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৭১টি কলই করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত। হটলাইনে যোগাযোগ করলে তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা বাড়িতে গিয়ে সংগ্রহ করবেন কিংবা তাদের আইইডিসিআরে কী ধরনের সতকর্তা নিয়ে আসতে হবে সে পরামর্শ দেবেন।

ডা. ফ্লোরা বলেন, দেশের সমস্ত সিভিল সার্জন ও গোটা দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৩১৪ জন। এছাড়া আক্রান্ত দেশ থেকে যারা আসবেন, তাদের সবাইকে নজরদারিতে রাখা হবে। প্রশাসন, স্থানীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা তাদের ওপর নজর রাখবেন। তারা কোনো নিয়ম না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তিনজন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রটোকল অনুসারে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে করোনা সংক্রমণমুক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রকোটল অনুসারে নমুনা পরীক্ষার পর প্রথমে ১৩ মার্চ দুজনকে করোনামুক্ত এবং আজ ১৫ মার্চ আরেকজনকে করোনামুক্ত ঘোষণা দেয়া হয়েছে

শনিবার (১৪ মার্চ) রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বাংলাদেশে আরও দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ডা. ফ্লোরা জানান, তাদের একজন ইতালিফেরত, আরেকজন জার্মানিফেরত। তাদের আমরা এনেছি, হাসপাতালে রেখেছি। তারা ভালো আছেন

চীনের উহান থেকে বিশ্বের শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। আক্রান্ত হয়েছে আরও দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

এমইউ/এইচএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।