বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত ইসির
দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১৪ জন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বলছে, সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য। তবে এ অবস্থায় আগামী ২১ ও ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা-১০ সহ পাঁচটি আসনের উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকেলে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেন ইসির নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তফসিলভুক্ত নির্বাচন বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
ইসির তফসিল অনুযায়ী, ২১ মার্চ ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচন এবং ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, বগুড়া-১ ও যশোর-৬ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘আগামী ২১ মার্চ জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৩, ঢাকা-১০ ও বাগেরহাট উপনির্বাচন এবং ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সাধারণ নির্বাচন, জাতীয় সংসদের বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনসহ কয়েকটি উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন এবং শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমিত দেশ থেকে ফেরত আসা কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন সুস্থ হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা এর অধিনস্থ বিভাগ/অধিদফতর/দফতর থেকে আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে অচেতন এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের পরামর্শ মতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে জনস্বাস্থ্য নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সভা, সমাবেশ, জমায়েত ইত্যাদি যতদূর সম্ভব পরিহারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে পরামর্শ দেয়া হলো। এগুলোর বিকল্প উপায়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা আইনানুগ অন্য কোনো পন্থা বা পদ্ধতিতে নির্বাচনী প্রচারণা করার জন্যও অনুরোধ করা হলো।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ দেশ থেকে আগত কোনো ভোটারকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তা কার্যকরী করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসি।
পিডি/এএইচ/এমএস