কেবল বিদেশফেরত নয়, লক্ষণ দেখলেই পরীক্ষা করছে আইইডিসিআর
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, আগে আমরা শুধু বিদেশ থেকে আসাদের ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা করেছি। কিন্তু এখন আমরা কাউকে ফিরিয়ে দিচ্ছি না। যাদের মধ্যেই লক্ষণ-উপসর্গ রয়েছে, কেস ডেফিনেশন দেখে স্ট্রংলি মনে হয় সাসপেক্টেড, তাদের নমুনা সংগ্রহ করছি। করোনা আক্রান্ত কি আক্রান্ত নয় সেটা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রোববার (২২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে আইইডিসিআর পরিচালক এ কথা বলেন।
আইইডিসিআর পরিচালক ফ্লোরা বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জনের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করেছি। যেটা আগে তিনজন বা দুজন ছিল। সুতরাং কেস ডেফিনেশন বড় হওয়ার কারণে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আছে কি-না সেটাও জানিয়েছি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হলেই আমরা সেই রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করি। এখন পর্যন্ত আমরা হাসপাতালে ভর্তি ৪০ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করেছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ পাইনি।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আমাদের জন্য একটা পরবর্তী লেভেল। যতক্ষণ আমরা নিশ্চিত হব না যে এটা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বলব না। আমরা সাফিশিয়েন্ট এভিডেন্স পাওয়ার পর বলব। কারণ এই রিপোর্টটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছেও দিতে হবে। উইদআউট এভিডেন্স আমরা স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে কোনো রিপোর্ট দিতে পারি না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের জিজ্ঞাসা করবে কী পরিমাণ সার্চ করেছেন বলে ফেললেন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন। সুতরাং আমাকে নিশ্চিত হতে হবে।
জেইউ/বিএ/এমএস