‘কাচ্চি খাইতে আইলাম, অহন দেহি সব বন্ধ’
‘কিরে ভাই পুরান ঢাকা কি লকডাউন কইরা দিল নাকি? রয়েলের কাচ্চি আর মোগলের কাবাব খাইতে আইলাম। অহন দেহি সব বন্ধ। করোনাভাইরাস কি সত্যিই ছড়াইয়া পড়ছে।’
পুরান ঢাকার লালবাগের হরনাথ ঘোষ রোডের রয়েল রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে দুই তরুণ রেস্টুরেন্টগুলো কেন বন্ধ তা নিয়ে আলোচনা করছিল। ওদের কথা শুনে স্থানীয় এক মুরুব্বি এগিয়ে এসে বললেন, আজকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন করোনাভাইরাস নিয়ে এক সভা শেষে এর সংক্রমণ প্রতিরোধে পুরান ঢাকার ছোট-বড় হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও মোবাইলফোনের দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ হয়ে যায়। দুই তরুণকে উদ্দেশ্য করে ওই মুরুব্বি আরও বলল, বয়স তো কম হলো না, ৭০ বছর বয়সের এ জীবনে লালবাগের এত রেস্টুরেন্ট হোটেল একসঙ্গে বন্ধ হতে দেখিনি।
সরেজমিন পুরান ঢাকার লালবাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মুরুব্বির এ কথার প্রমাণ পাওয়া গেল। এসব এলাকার ছোট-বড় সব ধরনের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, বিরিয়ানি, কাবাবসহ বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে।
যে লালবাগ কেল্লার মোড় রাত ১২টা পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের উপস্থিতিতে ব্যস্ত থাকে আজ রোববার রাত ৯টা না বাজতেই প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। পথঘাটে একে তো মানুষ কম তার ওপর আবার প্রায় সবার মুখে মাস্ক থাকায় অন্ধকারে পরিচিতজনকেও চেনা মুশকিল হয়ে উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান, সরকার ঘোষণা না দিলেও করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বলে তাদের ধারণা। টাকা-পয়সা রোজগারের চেয়ে জীবনের নিরাপত্তা বেশি। তাই ব্যবসায়ীরা সবাই কিছুদিন ব্যবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এমইউ/এমএফ/এমএস