করোনা’য় ব্যস্ত ম্যাজিট্রেট, ভেজাল ঘি’তে সয়লাব বাজার
২০১৯ সালে একের পর এক অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী ও আশপাশের ১৬ টি ভেজাল ঘি তৈরির কারখানা বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস সামলাতে তিনি প্রবাসীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা আবারো মাঠে সক্রিয় হয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিট্রেটের ব্যস্ততা ও মানুষের অতিরিক্ত চাহিদাকে পুঁজি করে ভেজাল ঘি বাজারজাত করছে এই অসাধু চক্রটি।
সোমবার দুপুরে হাটহাজারী বাস্টস্ট্যান্ড এলাকার একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্রান্ডের দুই হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। এসময় প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের পেছনের গল্প জানাতে গিয়ে ইউএনও রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতকাল রাতে এক বাবুর্চি এসে আমাকে জানালেন,‘স্যার আপনি সকাল হলেই বাজারের মূল্য দেখতে বের হবেন। স্যার ঘি ব্যবসায়ীরা বলাবলি করছে, আপনি নাকি নেই, এখন আপনি নাকি করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যস্ত। তাই দেড় বছরে যতগুলো ভেজাল ঘি কারখানা ধ্বংস করেছেন সেগুলো আবার গোপনে সক্রিয় হয়েছে।’
এ নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘আগের অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে ভেজাল ঘি বিক্রির অভিযোগ ছিলো তার একটি তালিকা আমার কাছে ছিল। সে অনুযায়ী আজ (সোমবার) সকালে হাটহাজারী বাস্টস্ট্যাণ্ডে দিদার স্টোরে অভিযান চালাই। অভিযানের শুরুতেই আমরা সেখানে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি মজুতের সন্ধান পাই। এরমধ্যে দোকানের গুদাম থেকে পাঁচ ব্রান্ডের দুই হাজার লিটার ভেজাল ঘি জব্দ করা হয়।’
‘ওই ব্যবসায়ী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন গতবছর বন্ধ করা ঘি কারখানাগুলো স্থান পরিবর্তন করে আবারো সক্রিয় হয়েছে। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, করোনা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে করোনা ভীত জনগণের কাছে ভেজাল ঘি উচ্চ দামে বিক্রি করা। এ কারণে দোকান মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা কারা হয়েছে’ -বলেন ইউএনও রুহুল আমিন।
আবু আজাদ/এমএফ/এমএস