চট্টগ্রামে রোগীর নমুনা বাড়িতে গিয়েই সংগ্রহ করবে বিআইটিআইডি
রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয় গত ২৫ মার্চ। গত পাঁচ দিনে ২২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেছে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি।
প্রতিষ্ঠানটি এবার চট্টগ্রামের সন্দেহজনক করোনা রোগীর নমুনা বাড়িতে গিয়েই সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি মিয়া।
তিনি বলেন, গুরুতর রোগীদের রক্তের নমুনা তাদের বাড়িতে গিয়েই সংগ্রহ করবেন বিআইটিআইডির বিশেষজ্ঞ টিম। এ জন্য অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে খুব জরুরি না হলে এই নগরবাসীকে এমন কল না দেয়ার আহ্বান জানান সিভিল সার্জন।
বিআইটিআইডির করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ডা. মামুনুর রশীদ জানান, কারও শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে নমুনা দিতে সরাসরি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। সন্দেহজনক ওই রোগী প্রথমে বিআইটিআইডির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাবেন। ওই ব্যক্তির লক্ষণ পর্যালোচনা করে বিআইটিআইডির করোনা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ টিম সিদ্ধান্ত নেবেন পরীক্ষার প্রয়োজন আছে কি-না।
তিনি বলেন, কারও শরীরে করোনভাইরাসের কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই হাসপাতালে ছুটে আসার বা যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আগে ফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানান। বিশেষজ্ঞ টিম পরীক্ষার পক্ষে মত দিলে নমুনা সংগ্রহের জন্য সন্দেজনক ওই রোগীর ঘরেই টিম পাঠিয়ে দেয়া হবে। অ্যাম্বুলেন্সে একটি টিম গিয়ে এই নমুনা সংগ্রহ করবে। শুধু নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, যেকোনো প্রয়োজনে ০২৪৪০৭৫০৪২ ও ০২৪৪০৭৫০৪৩ এই দুটি নম্বরে বিআইটিআইডিতে যোগাযোগ করা যাবে।
বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর গত তিন সপ্তাহে চট্টগ্রামের মোট ৩৭ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে বিআইটিআইডি। এর মধ্যে ১৫ জনের নমুনা প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। ২৫ মার্চ থেকে গত পাঁচ দিনে ২২ জনের করোনা পরীক্ষা নিজেরাই করেছে বিআইটিআইডি। এর মধ্যে একজনের নমুনা আবারও পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, বাকি ২১ জন সন্দেহাতীতভাবে করোনামুক্ত।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/এমএস