চট্টগ্রামে মোট ২৮ পরীক্ষা, সংস্পর্শে আসা একজনকে ফের পরীক্ষা
কক্সবাজারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নারীর সংস্পর্শে ছিলেন এমন একজনের নমুনা আগামীকাল আবারও সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত হাসপাতাল বিআইটিআইডি। যা হাসপাতালের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে। এর আগে, গতকাল (২৯ মার্চ) ওই ব্যক্তির নমুনা সন্দেহাতীতভাবে করোনামুক্ত নয় সাব্যস্ত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সোমবার (৩০ মার্চ) নতুন করে আরও ছয় জনের নমুনা পরীক্ষা চলছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জাগো নিউজকে এ সব বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ডা. মামুনুর রশীদ।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে আরও ছয়জন রোগীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাজ চলেছে। এ সব পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগামীকাল (৩১ মার্চ)। এ নিয়ে বিআইটিআইডিতে মোট ২৮ জনের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি বাদে সবগুলো পরীক্ষার ফলাফল ছিল নেগেটিভ। ওই একজনের পরীক্ষা আবার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক শাকিল আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর গত তিন সপ্তাহে চট্টগ্রাম থেকে মোট ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের নমুনা প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ করলেও পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। বুধবার থেকে গত পাঁচদিনে ২২ জনের করোনা পরীক্ষা করেছে বিআইটিআইড। আজ নতুন আরও ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এতে চট্টগ্রাম থেকে মোট ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে। আগে পরীক্ষা করা ২২ জনের ২১ জন সন্দেহাতীতভাবে করোনামুক্ত। তবে একজনের নমুনা ফের পরীক্ষা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সন্দেহাতীতভাবে করোনামুক্ত না হওয়ার কারণে ওই ব্যক্তির নমুনা আবার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ব্যক্তি কক্সবাজারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নারীর সংস্পর্শে ছিলেন। আগামীকাল আবারও নতুন করে তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে এর পরের দিন।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ মার্চ কক্সবাজারের এক নারীকে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। দেশেই ফিরেই ওই নারী চট্টগ্রামে চান্দগাঁওয়ে ছেলের বাসায় ওঠেন। এরপর তিনি ছিলেন কক্সবাজারের খুটাখালী ও জেলা সদরের টেকপাড়ায় বড় ছেলের বাসায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যেসব ডাক্তার-নার্স ওই নারীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় তার ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদেরও।
আবু আজাদ/এফআর/এমকেএইচ