মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে হরদম
কারও বাসার খাবার ফুরিয়েছে। কারও ফুরিয়েছে ওষুধ। আবার কারও খাবার-দাবার ও টাকাও ফুরিয়েছে। কারও গ্রামে টাকা পাঠাতে হবে, হাতে এক টাকাও নেই। কিংবা কারও বিশেষ প্রয়োজন পড়েছে। এরকম শত প্রয়োজনে মানুষ রাস্তায় বের হতে শুরু করেছে। কেউ উপার্জনে, কেউ কেনাকাটায়, কেউ অন্য কোনো প্রয়োজনে ছুটছেন। তবে রাস্তায় সবচেয়ে বেশি বেরিয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের মতো কাঁচাবাজারের দোকান বসেছে। মানুষও কেনাকাটা করছে হরদম। শাক-সবজির দামও তুলনামূলক কম। করোনার কারণে যে শারীরিক দূরুত্ব থাকা প্রয়োজন, তা নেই।
২০-২১ মাস বয়সী বাচ্চাকে নিয়ে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে এসেছেন মো. আব্দুল বারেক। তিনি রিকশা চাল্ন, স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন। তিনি কাজে গেছেন। করোনার কারণে তিনি রিকশা নিয়ে বের হন না। কিন্তু খাবার ফুরিয়ে যাওয়া ও স্ত্রীর কাজে যাওয়ায়, ছোট বাবুকে নিয়ে বাজার করতে যাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘কারওয়ান বাজারে কাঁচাবাজার করতে যামু। ৫-৬ দিন ধরে বাইরে বের হই না। বাজার ফুরাইয়া গেছে, বাজার করমু। বাবুকে ঘরে থাইয়া আইতে হারি না। ওর মা কাজে গেছে।’
কারওয়ান বাজার, বাংলামটর ও হাতিরঝিল এলাকায় দেখা যায়, রাইড শেয়ারিং বন্ধ থাকলেও অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন ভাড়া মারতে। রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলছে।
এছাড়া কারওয়ান বাজার এলাকায় পোশাক পরিহিত তিনজন ট্রাফিক পুলিশ এবং হাতিরঝিল এলাকায় রাস্তায় নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বাতিলগুলো কাজ করছিল।
পিডি/এএইচ/জেআইএম