নার্সদের মাঝে পিপিই সমবণ্টনের দাবি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২০

দেশের অনেক সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্সদের মধ্যে পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) সমবণ্টনের জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ)। বিএনএ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমত আরা পারভীন ও মহাসচিব মো. জামাল উদ্দিন বাদশা এ দাবি জানান।

সোমবার (৩০ মার্চ) তাদের যৌথ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯২টি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৪৯ জন রোগী শনাক্ত এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আক্রান্তদের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা চলছে।’

‘হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের। রোগীর রোগ নির্ণয় ও প্রেসক্রিপশন ডাক্তাররা করলেও রোগীর পরবর্তী ম্যানেজমেন্ট নার্সিং কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক পাশে থেকে করতে হয় (ওষুধ, ওরাল আইভি, আইএম ইনজেকশন প্রদান, তাপমাত্রা মাপা, উচ্চ রক্তচাপ মাপা ও ভাইটাল সাইন মনিটরিং ইত্যাদি) নার্সদের। রোগীর পাশে বেশি সময় থাকতে হয় তাদের। করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগের সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সংযুক্তিতে নার্সিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের যেমন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও প্রটেকশনের জন্য পিপিই প্রয়োজন তেমনি নার্সিং কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজন।’

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠানে পিপিই এখনও পৌঁছায়নি এবং যেখানে গেছে সেখানে সমবণ্টন হচ্ছে না। ফলে নার্সদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বিএনএর পক্ষ থেকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের কাছে নার্সদের মাঝে পিপিই প্রদান নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’

এমইউ/এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।