এনআইডি দিয়ে কেনা যাবে ওএমএসের ১০ টাকার চাল
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষকে সহায়তার জন্য আগামী রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস)। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আগে ভোক্তা পর্যায়ে ওএসএস চালের বিক্রয় মূল্য ছিল ৩০ টাকা। চালের গুদাম মূল্য আগে ২৮ টাকার পরিবর্তে কমিয়ে ৮ টাকা করা হয়েছে।
নির্দেশনা বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে একজন ভোক্তা সপ্তাহে একবার ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। সপ্তাহে তিনদিন রবি, মঙ্গল ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত বিক্রয় কার্যক্রম চালাতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদার, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গসহ (হিজড়া সম্প্রদায়) অন্যান্য কর্মহীন মানুষকে এর আওতায় এনে এই বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভোক্তার বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত মাস্টাররোল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বরসহ) সংরক্ষণ করতে হবে।
একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে ভোক্তা হিসেবে নির্বাচন করা যাবে না। এছাড়া ওই পরিবারের কেউ যদি খাদ্যবান্ধব অথবা ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগী হয় থাকেন তাহলে তিনি ওএসএসের ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবেন না।
জেলা ও বিভাগীয় শহরের প্রতি কেন্দ্রে প্রতি ২ টন এবং ঢাকা মহানগরের কেন্দ্রে ৩ টন করে চাল দৈনিক বিক্রি করা যাবে।
এই কর্মসূচির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে ১৯৯টি দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং এর প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিগত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএসের মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে চালের মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম ধাপে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সেই ছুটি বাড়ানো হয়। এ সময়ে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এতে শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
আরএমএম/এসএইচএস/পিআর