করোনা : অনলাইনে বাংলাদেশ স্কাউটসের হাত ধোয়ার চ্যালেঞ্জ

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের পাশাপাশি অনলাইনে সচেতনতা কাজসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ স্কাউটস। এর মধ্যে রয়েছে চিত্রাঙ্কন ও হ্যান্ড ওয়াশ চ্যালেঞ্জসহ অনেক শিক্ষণীয় প্রতিযোগিতা। ‘শিশু ও যুব তথা সকলের জন্য’ বাংলাদেশ স্কাউটস এ সব কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় সদর দফতরে স্থাপন করা হয়েছে করোনাভাইরাস কো-অর্ডিনেশন সেল (সিসিসি)। বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সম্প্রতি অনলাইন সভার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্কাউটসের সকল জাতীয় কমিশনার ও জাতীয় উপ-কমিশনারদের বৃন্দকে স্ব-স্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সর্বোচ্চ সচেতনতা ও গুরুত্ব দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে দেশের মানুষকে। বাসায় থেকে পুরো সমাজ ও বিশ্বকে বাঁচানোর এটাই যেন উপায়। দেশের এই ক্রান্তিকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসায় অবস্থান করে সময়টাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পায়। সেজন্য বাংলাদেশ স্কাউটস ইতিমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অনলাইন প্রশিক্ষণ, হ্যান্ড ওয়াশ চ্যালেঞ্জ, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, বই পড়ার প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

এসব সচেতনতা ও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে- ইউএনডিপি, ডেটল, হারপিক, পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, দুরন্ত টেলিভিশনসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এসব কর্মসূচির জনসংযোগ পার্টনার হিসেবে কাজ করছে কনসিটো পিআর।

বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি এবং প্রাক্তন মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে স্কাউট সদস্যরা করোনাভাইরাসের ওপর অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ঘরে বসে মোবাইলে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সচেতনতা কাজ করছে। ঘরে বসে অলস সময়? কী করণীয়? কী করলে নিজের সময় ভালো কাটবে, দেশের, সমাজের উপকারে লাগা যাবে? ছাত্রছাত্রীদের প্রথম কাজ যেহেতু পড়ালেখা করা, কাজেই সে বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস নেয়া শুরু করা হয়েছে। বিনোদনের তো শেষ নেই, কিন্তু বিনোদন হতে হবে শিক্ষণীয় যার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করবে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় একত্রে নানা কার্যক্রম করছে।’

এইচএস/এফআর/জেআইএম