রাজধানীতে আরও সাড়ে ৪ হাজার আইসোলেশন বেড বাড়ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাজধানীতে আরও তিনটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকায় আরও সাড়ে ৪ হাজার করোনা আইসোলেশন বেড বাড়বে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এই বক্তব্যের কথা জানা‌নো হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকার নতুন আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে সুসজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২,০০০ বেড, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কনভেনশন সেন্টারে ১,৩০০ বেড ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে ৪টি বহুতল ভবনে ১,২০০ বেডসহ মোট সাড়ে ৪ হাজার করোনা আইসোলেশন বেড দ্রুতই প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এগুলোর পাশাপাশি ঢাকার সরকারি মুগদা হাসপাতাল, নিটোর হাসপাতালসহ (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান) আরও বেশকিছু হাসপাতাল করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হবে। অন্যদিকে দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনও পিপিই সরবরাহসহ নানাভাবে সরকারকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই ভাইরাসকে মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরে সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে মোট ১,৫৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১,৪০০ বেড সরকারি ও ১৫০ বেড ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতালের।

এ ছাড়া দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৭৭ টি, চট্রগ্রাম বিভাগে ৮৪৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৫০টি, বরিশাল বিভাগে ৪৮৩টি, সিলেট বিভাগে ১১৮ টি, রাজশাহী বিভাগে ১,২০০টি, খুলনা বিভাগে ১৮০টি শয্যাসহ সারাদেশে মোট ৬,৬৯৩ টি শয্যা শুধু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এমইউ/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।