গ্রামীণ হাট-বাজার খোলা জায়গায় সরানোর নির্দেশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিতে গ্রামীণ হাট-বাজার পার্শ্ববর্তী খেলার মাঠ বা খোলা জায়গায় স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রোববার (১২ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে এই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় মাঠে দূরত্ব বজায় রেখে নিত্যপণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে বলার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হলো।
স্থানীয় সরকার বিভাগের চিঠিতে বলা হয়, দেশের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ হাট-বাজার সংকীর্ণ স্থানে অবস্থিত। ফলে হাট-বাজারে অবস্থানরত ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় করা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গ্রামীণ কাঁচা বাজারগুলো তুলনামূলকভাবে খোলা স্থানে স্থানান্তর করা হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এমতাবস্থায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণ হাট-বাজার বা কাঁচা বাজারগুলো পার্শ্ববর্তী স্কুলের মাঠ/খেলার মাঠ/খোলা জায়গায় স্থানান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।
রোববার সকালে গণভবনে থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাজারে যাওয়ার সময় দূরত্বটা বজায় রাখতে হবে। যেখানে হাট হয় সেই হাট-বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ না রেখে হাটের জায়গায় খুব বেশি লোক সমাগম হবে, কোন বড় মাঠ দেখে সুনির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করে দূরত্ব বজায় রেখে রেখে হাটে পণ্য বিক্রির একটা ব্যবস্থা, সপ্তাহে একদিন অন্তত।'
আরএমএম/এনএফ/এমকেএইচ