ডাক্তার যাবেন রোগীর কাছে
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর এলাকার ২০ জন ছিন্নমূল মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইনের পাশাপাশি খাবার ও চিকিৎসাসেবা দেন শফিকুল ইসলাম বাছেক। পরে নিজ উদ্যোগে ৫ হাজার ২০০ পরিবারের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর।
কোভিট-১৯ ঠেকাতে এবার তিনি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নিয়ে এসেছেন ‘কুইক ডাক্তার’। তাৎক্ষণিকভাবে এ সেবা পেতে খোলা হয়েছে দুটি হটলাইন।
কাউন্সিলর জানান, করোনায় ওয়ার্ডবাসীকে ঘরে রাখতেই তার এই ব্যক্তিগত উদ্যোগ। এ সেবা পেতে ফোন করতে হবে ০১৬৮৬৩৩৯২৮৮ ও ০১৬৭৬ ৬২১৭৫৯ নম্বরে। ফোন পেয়েই রোগীর বাসায় সেবা দিতে ডাক্তার চলে যাবেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ডাক্তারের কাছে এবার আর রোগীকে আসতে হবে না। রোগীর কাছেই ডাক্তার চলে যাবেন। এ জন্য যাবতীয় সব খরচের ব্যবস্থা আমি করব। রোগী সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা পাবেন। এই উদ্যোগটা সহজ হয়েছে আমার কিছু ডাক্তার সার্কেলের কারণে। আমার বন্ধুবর সব ডাক্তারের সহায়তায় উদ্যোগটি চালু করেছি। আশা করি, এখন আর কেউ বাসার বাইরে বের হবেন না।
কাউন্সিলর বলেন, আমি এলাকায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার প্যাকেট ত্রাণ দিয়েছি। সবাইকে ত্রাণ দিয়েছি। এমন কেউ নাই যে ত্রাণ পাননি।
এই তরুণ কাউন্সিলর করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার পর থেকে এলাকার প্রতিটি অলি-গলিতে এবং মসজিদে নিজে জীবাণুনাশক স্প্রে করেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে বাসিন্দাদের সচেতন করতে ওয়ার্ডটির বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০ হাজার হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে।
এফএইচ/জেডএ/পিআর