সমাগম-চলাচল বন্ধে মিরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত
পথচারী ও যানবাহন চলাচল বন্ধে মিরপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাস্তায় চলাচল করা পরিবহন ও পথচারীদের আটক করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় শাহআলী থানার তত্ত্বাবধানে ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মো. জাবেদ এ আদালত পরিচালনা করছেন।
দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার পর যান চলাচল বন্ধে মিরপুর-১ নম্বর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। দায়িত্বরত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় চলাচলরত পরিবহন আটক করেন। দুটি মাইক্রোবাস, আটটি মোটরসাইকেল ও দুটি ভাড়ায়চালিত সিএনজি আটক করা হয়। তবে যেসব পরিবহন চলাচলের অনুমোদন রয়েছে তা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিতে দেখা যায়। এ ছাড়া রাস্তায় পথচারীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট কামাল মো. জাবেদ জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সন্ধ্যা ৬টার পর যেসব যানবাহন ও পথচারী রাস্তায় চলাফেরা করেন তাদের আটক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে মিরপুর-১ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে ভ্রাম্যামাণ আদালত বসানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আটটি মোটরসাইকেল ও দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি সিএনজি আটক করা হয়। এসব পরিবহনে কেউ অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন। কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় যাচ্ছিলেন আবার কেউ রাস্তা ফাঁকা থাকায় বিনা কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন।
'আটক করা কাউকে এখনও জরিমানা করা হয়নি। অপরাধের ধরন অনুযায়ী এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হবে। রাত ১টা পর্যন্ত মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে এ আদালত পরিচালনা করা হবে। এসব রাস্তায় চলাচলরত পরিবহন ও পথচারীদের আটক করে ব্যবস্থা নেয়া হবে,'- বলেন তিনি।
এদিকে মিরপুরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যার পরও প্রধান সড়কে, বাজারে, অলিগলিতে জনমানুষের সমাগম রয়েছে। অনেককে সন্ধ্যার পরও বাজারে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। অনেকে প্রধান সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব রজায় না রেখে আড্ডা দিচ্ছিলেন। অলিগলিতে আবার চায়ের দোকান খোলা থাকায় সেখানেও জনসমাগম সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর জনমানুষকে বাইরে ঘোরাফেরা না করতে আমাদের সব পুলিশ টহল দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে নির্দেশনা অমান্য করে অনেকে অকারণে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন। পুলিশ সদস্যরা তাদের বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তবে সন্ধ্যার পরে রাস্তায় অবস্থান করাদের মধ্যে অনেকে পাগল ও ভবঘুরে। তাই তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
এমএইচএম/জেডএ/এমএস