কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহারে সরকারকে ৪৩০ কক্ষ দিলো ব্র্যাক
বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে ব্যবহার করার জন্য সরকারকে ৪৩০টি কক্ষ দিয়েছে বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর আশকোনায় ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারের এই কক্ষগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, ‘এই সময়ে বিদেশ প্রত্যাগত সবারই কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রয়োজন। ঢাকার আশপাশে উপযুক্ত পরিবেশে ভালো মানের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থাকলে বিদেশ প্রত্যাগতরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। সেই ভাবনা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ব্র্যাক এই ৪৩০টি কক্ষ সরকারকে দিয়েছে।’
ব্র্যাক ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশজুড়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এতে যুক্ত রয়েছেন সংস্থাটির এক লাখেরও বেশি কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও স্বাস্থ্যকর্মী। এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়।
এছাড়া ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার জন্য এ পর্যন্ত ৬ লক্ষাধিক তরল সাবান, গোসলের সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সুরক্ষা উপকরণ হিসেবে ৫৫ হাজারেরও বেশি সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ৮১ হাজার জোড়া গ্লাভস বিতরণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ব্র্যাক স্বাস্থ্যসম্মত ও কুটিরশিল্পভিত্তিক পদ্ধতিতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ও সুরক্ষা পোশাক (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই) উৎপাদন শুরু করেছে। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন লাখ পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মাস্ক এবং দুই হাজার ১৫০টি সুরক্ষা পোশাক বিতরণ করা হয়েছে।
আরও বেশি সংখ্যক অতিদরিদ্র পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তহবিল সংগ্রহের জন্য একটি উদ্যোগও নিয়েছে ব্র্যাক, যার বিস্তারিত পাওয়া যাবে ব্র্যাকের ওয়েবসাইটে: www.brac.net/covid19/donate.
মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যম ব্যবহার করেও ব্র্যাক জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক, নীতিনির্ধারক ও শিল্পী এবং ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
জেপি/এইচএ/পিআর