মুক্তির পথ বের করবে কৃষকরাই

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০

অডিও শুনুন

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষক সমাজ নিজেরাই মুক্তির পথ বের করে নেবেন— এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. ইব্রাহিম খালেদ।

তিনি বলেন, সরকার বা অর্থনীতিবিদদের পরামর্শে কাজ হবে না। কৃষক নিজেরাই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বরং সরকার যেন কৃষকের পথ না আটকায়।

করোনাকালীন ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে জাগো নিউজের কাছে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন এ অর্থনীতিবিদ। বলেন, ‘করোনার প্রভাবে প্রধান সমস্যা হবে খাদ্যে। বাংলাদেশে সমস্ত খাবার আসে গ্রাম থেকে। এই গ্রাম রক্ষা করতে হবে। বিশেষ সময় ঘিরে আজকের সংকট। এই সংকট আরও বাড়তে পারে। কিন্তু মুক্তি মিলবে গ্রাম থেকেই।’

‘নিয়ন্ত্রিত অবস্থা বজায় রেখেও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা জরুরি’ উল্লেখ করে ড. খালেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রাম আর অন্য দেশের গ্রাম এক নয়। ছোট দেশে অধিক মানুষের বাস। তবুও শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষকে গাদাগাদি করে থাকতে হয় না। গ্রামের মানুষ সচেতন থেকেই মাঠে যায়। এখনও যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও যাবে। শহরের মানুষরা গ্রাম-কে ঝুঁকি করে তুলছে। আমরা নিরাপদ রাখতে পারিনি। এটি শহরের মানুষের ব্যর্থতা। তবুও গ্রাম নিয়ে, গ্রামের সাধারণ মেহনতি মানুষ নিয়ে আমি আশাবাদী।’

‘কৃষি চালু থাকলে বাংলাদেশে বড় সমস্যা হবে না’ মনে করেন তিনি। আরও বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকা লাশের সারি সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। এমন মেধাসম্পন্ন জাতির কাছে বাংলাদেশ হয়তো কিছুই না। তবুও মনে করি, প্রকৃতি আমাদের রক্ষা করবেন। ক্ষতির মাত্রা এখনও কম। সচেতনতার বিকল্প নেই।’

করোনা-পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় আমাদের খাদ্য উৎপাদনে জোর দিতেই হবে। কৃষিঋণ বৃদ্ধি, ঋণ মওকুফ, সুদ কমানোর মতো বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে দ্রুততম সময়ে। একই পন্থা অবলম্বন করতে হবে শিল্পের জন্যও। সরকারের কোনো পরামর্শ এখানে কাজে লাগবে না। সহায়তা দিলে উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীরাই সব সামলে নেবেন।

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৪১ জন। এতে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭২ জনে।

এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। মৃতের সংখ্যা এক লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি। তবে পাঁচ লাখ ১৬ হাজারের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

এএসএস/এমএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।