নৌপথে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৯ জাহাজ মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০২০

নৌপথে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নদীতে জনসাধারণের অবাধে চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং চলমান জাটকা সংরক্ষণ অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন নৌপথে ১৯টি জাহাজ মোতায়েন করেছে নৌ পুলিশ।

গত ১১ এপ্রিল প্রাথমিক পর্যায়ে ৫টি জাহাজ দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ১৯টি জাহাজ নিয়ে কাজ করছে নৌপথের এ বাহিনী। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নদীসমূহে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্পিড বোট, প্রয়োজনীয় রশদ ও অস্ত্র-শস্ত্রসহ নৌ পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের লিগ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ট্রেনিং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন।

ship-1

তিনি বলেন, জাহাজ নিয়োজিত স্থানগুলো হচ্ছে মীর কাদিম, শীতলক্ষ্যা ধলেশ্বরী, কলাগাছিয়া, চর কিশোরগঞ্জ, চর বলাকি, গজারিয়া, চরকালিপুরা, চরঝাপটা, ইসমানিরচর, চার আব্দুল্লাহপুর, নারায়ণগঞ্জে প্রিমিয়ার সিমেন্ট, পদ্মাডিপো, নবীগঞ্জ ফেরিঘাট, বসুন্ধরা লঞ্চঘাট, নারায়ণগঞ্জ নৌ বন্দর ও তার আশেপাশের এলাকা, মাওয়া-মাওয়া ব্রিজ, শিমুলিয়ার চর, লৌহজং চ্যানেল, সিডারচর, কালির খাল ও তার আশপাশের এলাকা, ঢাকা সদরঘাট- সদরঘাট, হাসনাবাদ, ধলেশ্বর, বাবুবাজার ব্রিজ ও তার আশপাশের এলাকা, মুক্তারপুর-মুক্তারপুর ব্রিজ, শীতলক্ষ্যা মোড়সহ মেঘনা নিম্নাঞ্চল ও তার আশপাশের এলাকায় ৯টি জাহাজ এবং ১০টি স্পিডবোট মোতায়েন করা হয়েছে।

ship-2

চাঁদপুর সদর, চর রাজ রাজেশ্বর, হরিনাঘাট, আবুলের ঘাট, নীলকমল, মাঝিরবাজার, আমতলি, হাইমচর ও তার আশপাশের এলাকা, মজুচৌধুরী ঘাট, চরমেঘার চর, গাজীপুরার চর, তাবুরচর, বালুরচর, চররমনী, কুমারিয়াচর, চ্যানেলের মাথা, মতিরহাটের চর ও তার আশপাশের এলাকায় ৩টি জাহাজ ও ৬টি স্পিডবোট মোতায়েন করা হয়েছে।

পাটুরিয়া, চরশিবালয়, আলোকদিয়ারচর, দৌলতদিয়া, ঢালারচর, কলাবাগান ও আরিচা সংলগ্ন পদ্মানদী ১টি জাহাজ ও ১টি স্পিড বোট।

ship-4

বরিশাল কালীগঞ্জ থানাধীন উলানিয়া, রাজারপুর, জোড়খাল, রামদাসপুর, জনতারবাজার ও তার আশেপাশের এলাকা এবং হিজলা থানাধীন মেঘনা নদীর ধুলখোলা, হরিনাথপুর, থানাঘাট, চর মৌলভীলহাট, পুরাতন চর হিজলা লঞ্চঘাট, আলিগঞ্জ লঞ্চঘাট, একতা, খেয়াঘাট ও তার আশপাশের এলাকায় ৩টি জাহাজ ও ৩টি স্পিড বোট মোতায়েন, কাচারিঘাট,রূপসা ঘাট, কালিবাড়ি ঘাট, জেলখানা ঘাট, ষোলপুর ও দৌলতপুর ঘাট ও তার আশপাশের এলাকায় ১টি জাহাজ ও ১টি স্পিড বোট মোতায়েন এবং ভৈরবের আশুগঞ্জ ডিওসিঘাট, আশুগঞ্জ নতুন পাওয়ার স্টেশন, ফার্টিলাইজার ঘাট, ভৈরব ফেরিঘাট, ডিকচর, মামনি ব্রিকস, লালপুর বাজার ও তার আশপাশের এলাকা ও চামটাঘাট-বালিখোলা ফেরিঘাট, বড়ইতলা ফেরিঘাট, সুতার পাড়া, উত্তর গনেশপুর ও তার আশপাশের এলাকায় ২টি জাহাজ, ২টি স্পিড বোট মোতায়েন করা হয়েছে।

জাহাজগুলো মোতায়েনের পর থেকে ৩১০ জন বিভিন্ন পেশার শ্রমিকদের পুশব্যাক করা হয় দেশের বিভিন্ন নদীবন্দর বা ঘাট থেকে।

ship-4

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরিদা পারভীন আরও বলেন, ‘সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, যদি ইটভাটার মালিকগণ ন্যূনতম প্রণোদনা দিতে সম্মত হতো এবং শ্রমিকদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ছুটিতে না ছাড়তো তাহলে নৌ পথে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ অধিকতর সহজ উপায়ে ও কার্যকরভাবে করা সম্ভব হতো।’

এছাড়াও গত ১৫ দিনে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করে ৩৭৫ মণ জাটকা ইলিশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। যা বিভিন্ন এতিমখানা, বেদে পল্লী, স্থানীয় দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে এ সব মাছ বিতরণ করা হয়।

জেইউ/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।