রাজধানীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মিরপুর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০
ছবি আইইডিসিআর

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আজ (শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত এ সংখ্যা ১ হাজার ৮৩৮-এ দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। এরপর ২০ শতাংশ নারায়ণগঞ্জের। এছাড়া গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

রাজধানীর মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ। করোনাভাইরাস প্রথমে টোলারবাগে শনাক্ত হলেও এখন তা মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর মোহাম্মদপুর, ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ীতে ৪ শতাংশ করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডিতে ৩ শতাংশ রোগী পাওয়া গেছে।

শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

ডা. ফ্লোরা জানান, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর বয়স বিভাজনে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ শতাংশ ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রায় ১৯ শতাংশ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের মধ্যেই সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ। নারী-পুরুষ বিভাজন দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩২ শতাংশ নারী আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৯০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে আরও ২৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৮৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ১৫ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৭৫। আক্রান্তদের মধ্যে আরও নয়জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।

এমইউ/এইচএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।