করোনাভাইরাস সংক্রমণ ব্যবস্থাপনায় জরুরি নির্দেশনা

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে করোনা ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সেবা প্রদানকারীরা ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হচ্ছে। সংক্রমণের ব্যাপকতা এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাপকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। সার্বিক বিবেচনায় একই সঙ্গে সব সেবা প্রদানকারীকে এক্সপোর্ট হওয়া, সংক্রমণ থেকে বিরত রাখা এবং করোনা ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতাল সেবাকেন্দ্রে সেবা প্রদানকারীদের কার্যকরীসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে নিম্ন লিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হলো-
করোনা ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতালে কর্মরত সব সেবা প্রদানকারীদের সমন্বয়ে তিনটি টিম গঠন করতে হবে। প্রতিটি টিমে সমানসংখ্যক অধ্যাপক/ কনসালটেন্ট/ বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল অফিসার, নার্স এবং অন্যান্য সেবা প্রদানকারী অংশ নেবেন।

প্রতিটি টিম একাধারে ১০ দিন (২/৩ শিফটে) ডিউটি করবে অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা বা ৮ ঘণ্টার রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করবে।

ডিউটি চলাকালীন টিমের সব সেবা প্রদানকারী পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য গেস্ট হাউস/হোটেলে অবস্থান করবেন। গেস্ট হাউস/ হোটেল জেলা কমিটির সহায়তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা করবেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সহায়তা নেয়া যাবে।

১০ দিন ডিউটি পরবর্তী স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী ১৪ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। ইচ্ছা করলে কোয়ারেন্টাইন শেষে পরবর্তী ছয়দিন বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারবেন। এরপর পুনরায় হাসপাতালের ডিউটিতে যোগদান করবেন।

একটি টিমের কোয়ারেন্টাইন চলাকালীন অন্য টিম এসে কাজ করবে এবং প্রত্যেক দিন রোস্টার ডিউটি শেষে হোটেলে অবস্থান করবেন।

ওয়ার্কিং কমিটিতে তিনটি টিমের সেবা প্রদানকারীরা সমানভাবে সময় করে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবেন।

৫০ বৎসরের ঊর্ধ্বে এবং গর্ভবতী সেবা প্রদানকারীরা টিমের বাইরে থাকবেন, তারা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে সেবা দেবেন। টিমে সব ডিসিপ্লিনের চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত হবেন।

হোটেলে অবস্থান, থাকা, যাতায়াত এবং খাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রেরিত চাহিদা প্রাপ্তি সাপেক্ষে মন্ত্রণালয়ে কোয়ারেন্টাইন এক্সপেন্স অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ পাঠানো হবে।

এমএসআর বরাদ্দ হতে স্থানীয়ভাবে মানসম্পন্ন পিপিইর সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

পিপিই ব্যবহার, বিশেষ করে খোলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলি সবাইকে অনুসরণ করতে হবে; তা না হলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে না।

স্থানীয় সম্পদ বিবেচনায় রেখে সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে নির্দেশনাগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এমইউ/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।